Skip to main content

Posts

বিশ্ব ইজতেমা

ইজতেমা' একটি আরবি শব্দ যার অর্থ সমাবেশ, সভা বা সম্মেলন। 'বিশ্ব ইজতেমা' শব্দটি বাংলা ও আরবি শব্দের সংমিশ্রণ। প্রতিবছর তাবলিগ জামায়াতের উদ্যোগে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। লাখ লাখ মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে নিরলস প্রয়াস রাখছে তাবলিগ জামায়াত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান যোগ দিচ্ছেন বিশ্ব ইজতেমায়। ২০১১সাল থেকে স্থানের স্বল্পতা এবং জনসমাগম বিবেচনা করে দুই ধাপে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০১৭ সাল থেকে মুসল্লির সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রতি বছর বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায় মাত্র ৩২টি জেলার মুসল্লিরা। তাবলিগ আরবি শব্দ। এর অর্থ প্রচার করা। দীনহারা মানুষকে ইসলামের দিকে আসার আহ্বান জানানোকে তাবলিগ বলা হয়। হযরত আদম (আঃ) থেকে শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) পর্যন্ত সকল নবী-রাসূলগণের প্রধান কাজ ছিলো তাবলীগ। শেষ নবীর পরে তাবলীগের কাজ করছেন ওলী-আউলিয়াহ, পীর-মাশাহেক এবং আলেম সমাজ। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে মাওলানা ইলিয়াস (রহ.) ভারতের উত্তর প্রদেশের সাহরানপুর এলাকায় তাবলিগের প্রবর্তন করেন। মাত্র কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে তাবলিগ জামাতের মেহ

লাইলাতুল মেরাজ | পবিত্র শবে মেরাজ

আরবি শব্দ 'লাইলাতুল' অর্থ রাত এবং 'মেরাজ' অর্থ ঊর্ধ্বগমন। ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, রজব মাসের ২৬ তারিখ রাতে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত (সাধারণভাবে শবেমেরাজ নামে পরিচিত) হল সেই রাত যে রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) ঐশ্বরিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে ঊর্ধ্বাকাশে গমন  করেছিলেন এবং সৃষ্টিকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। অনেক মুসলমান এই রাতটি ইবাদতের মাধ্যমে উদযাপন করে। আবার অনেক মুসলমান এই রাত উদযাপনকে বিদআত বলে থাকেন। ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, কারণ এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য (ফরজ) হয়ে যায় এবং এই সেই রাত যে  রাতে নবী মুহাম্মদ (সা.) দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করার বিধি মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন। মেরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বগমন, দিদার, সিঁড়ি, সোপান ইত্যাদি। হিযরতের ৬ মাস পূর্বে ২৬ রজবের দিবাগত রাতে রাসুল (সাঃ) মক্কা শরিফ হতে বায়তুল মোকাদ্দাস এবং বায়তুল মোকাদ্দাস হতে ঊর্ধ্ব আকাশে গমন, সপ্ত আকাশ ভ্রমণ, নবীগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ, বেহেশত-দোজখ দর্শন,

ইতিহাসের শীর্ষ ১০ টি সবচেয়ে খারাপ কম্পিউটার ভাইরাস

ভাইরাস সত্যিই খুব বিপজ্জনক একটি বিষয়। সেটা মানুষের জন্য হোক কিংবা কম্পিউটারের জন্য হোক! একবার আক্রান্ত হলে সহজে নিস্তার নেই। আর সেটা যদি কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে তো কোন কথা নেই। এর থেকে মুক্তি পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। তাই আজকের আর্টিকেলটি সহ্য হয়েছে ইতিহাসের শীর্ষ ১০ টি সবচেয়ে খারাপ কম্পিউটার ভাইরাস নিয়ে। ইতিহাসের ১০টি সবচেয়ে খারাপ কম্পিউটার ভাইরাস 1. Mydoom   ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ কম্পিউটার ভাইরাস হল মাইডুম। কোড রেড-২ বা নিমদার মতো মাইডুম হল আরেকটি কম্পিউটার ওয়ার্ম যা তার শিকার করা কম্পিউটারের পিছনের দরজা খুলতে পারে। MyDoom ভাইরাসটি মূলত দুই ধাপে ইন্টারনেটে এসেছিল। ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, এটি পরিষেবা অস্বীকার (DoS) আক্রমণ শুরু করে। আর দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশের কারণে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া বন্ধ হয়ে যায়। Mydoom এর বিস্তার থেমে গেলেও এখনো বন্ধ হয়নি হামলার শিকার কম্পিউটারের চোর দরজা! আরও জানতে পড়ুন: কম্পিউটার ভাইরাস | Computer virus একই বছরে মাইডামের দ্বিতীয় সংস্করণ সার্চ ইঞ্জিনগুলির জন্য একটি ভয়ানক সমস্যা তৈরি করেছিল। অন্যান্য ভাইরাসের মতো, একটি কম্পিউটার আক

কম্পিউটার ভাইরাস | Computer virus

ভাইরাস শব্দটি আমাদের সামনে আসলে আমরা বুঝি যে এটি খারাপ কিছু এবং মানুষের ক্ষতি করে। এদেশের বেশির ভাগ মানুষ কম্পিউটার ব্যবহার করে কিন্তু কম্পিউটার ভাইরাস কী সে সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষেরই সঠিক ধারণা নেই। দেখুন, কম্পিউটার ভাইরাস একটি মারাত্মক জিনিস যা একটি কম্পিউটারকে নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে এবং মানুষের অনেক ক্ষতি করে। তাই এই কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে আপনার জানা উচিত। সাধারণভাবে ভাইরাস মানবদেহে ক্যান্সারের মতো রোগ এমনকি মৃত্যুও ঘটাতে পারে। একই জিনিস একটি কম্পিউটার ভাইরাস কারণ এটি কম্পিউটারে প্রবেশ করে এবং তার সমস্ত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। তাহলে আজকের নিবন্ধে কম্পিউটার ভাইরাস কি? এটা কিভাবে তৈরি হয়? কম্পিউটার ভাইরাস কত প্রকার? কী ক্ষতিকর এবং কীভাবে আপনার কম্পিউটারকে ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা করা যায় তা ধাপে ধাপে আলোচনা করা হবে। তাই এই লেখাটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন, তাহলে আপনি সহজেই কম্পিউটার ভাইরাস চিনতে পারবেন এবং সহজেই আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারবেন। কম্পিউটার ভাইরাস কি?(What is a Computer Virus?) একটি কম্পিউটার ভাইরাস হল এক ধরনের দূষিত সফ্টওয়্যার বা ম্যালওয

কম্পিউটারে কিভাবে এন্ড্রয়েড অ্যাপ ইন্সটল করব? | How to install Android app on a computer?

অধিকাংশ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহারকারী কম্পিউটার বা ল্যাপটপে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস কীভাবে ইনস্টল করবেন তা জানতে চান। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে এই প্রশ্নের সঠিক সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কিভাবে এন্ড্রয়েড অ্যাপ ইন্সটল করব?  আজকাল সবার পকেটেই একটি বা একাধিক অ্যানড্রয়েড ফোন রয়েছে। আর অ্যানড্রয়েড প্লে স্টোরে রয়েছে কয়েক লক্ষ অ্যাপ। প্রতিদিন আমরা সেই অ্যাপগুলি ব্যবহার করে থাকি। এই সব অ্যানড্রয়েড অ্যাপ কম্পিউটারে চালানোর স্বপ্ন দেখেন অনেক গ্রাহক। কিন্তু কম্পিউটারে আলাদা অপারেটিং সিস্টেম চলার কারণে অ্যানড্রয়েড অ্যাপ চালানো সম্ভব হয়ে ওঠে না।  তবে কম্পিউটারে অ্যানড্রয়েড অ্যাপ চালানো অসম্ভব কোন কাজ নয়। Chrome ব্রাউজারে 'App Runtime for Chrome (ARC) project’ এর মাধ্যমে যে কোন ডেস্কটপ কম্পিউটারে অ্যানড্রয়েড অ্যাপ চালানোও যাবে। শুরুতে শুধুমাত্র ডেভেলপারদের জন্য সীমিত থাকলেও এখন যে কেউ এই অ্যাপ ডাউনলোড করে কম্পিউটারে অ্যানড্রয়েড অ্যাপ চালাতে পারবেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে Chrome ব্রাউজারে অ্যানড্রয়েড অ্যাপ চালাবেন। কেন কম্পিউটারে এন্ড্রয়েড

জেনে নিই গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও পরামর্শ | Pregnancy care

গর্ভের শিশুর শারীরিক ও মানসিক পরিপূর্ণ বিকাশের পূর্বশর্ত হচ্ছে মায়ের সুস্থতা সুনিশ্চিতকরণ। এ জন্য একজন নারীকে নিজেই যেমন হতে হয় স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন, তেমিন গর্ভবতী মায়েদের প্রতি যত্নশীল হতে হয় পরিবারের সবার। গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা গর্ভস্থ সন্তান ও মা' উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২৮০০০ মহিলা গর্ভসঞ্চারজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। পাশাপাশি নবজাতক মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৮৩ জন। মা ও শিশুর এ অকাল মৃত্যুর অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। কিন্তু এ প্রতিরোধ আমাদের দেশে সম্ভব হয়ে উঠছে না মূলত স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবে। তাই গর্ভবতী মা-এর যত্ন সম্বন্ধে নিজেকে জানতে হবে ও অনেক জানতে সাহায্য করতে হবেl গর্ভকালীন সময়ে একজন মাকে যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয় তাই গর্ভকালীন সেবা । গর্ভধারণের সময় হতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত সময়কালে মা ও শিশুর যত্নকে গর্ভকালীন যত্ন বা Antinatal Care বলে। এই গর্ভকালীন যত্নের লক্ষ্য হলো মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং গর্ভজনিত কোনো জটিলতা দেখা দিলে তার প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করা। এক কথায় মায়ের স্বাস্থ্যের কোনো অবনতি ছ

কাঁচা হলুদের গুণাগুণ ও উপকারিতা | Properties and benefits of Raw Turmeric

হলুদকে Miracle Herb বা অলৌকিক ভেষজ বলা বলা হয়। হলুদ আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মসলা, যা ছাড়া আমাদের প্রতিদিনের রান্নাঘরের রান্না অসম্পূর্ণ থেকে যায়। জানতে আরও পড়ুন:  ভেষজ গুণের ডুমুর(Ficus)- জেনে নিন ৪০ টি উপকারিতা হলুদ বাঙালী রান্নার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য উপাদান, শুধুমাত্র বাঙালিদের জন্য নয়, সমগ্র ভারত এবং প্রায় সমগ্র এশিয়ার জন্য। হলুদ শুধু রান্নায় রঙই আনে না, স্বাদের জন্যও এটি অপরিহার্য। তবে শুধু রান্নার জন্য নয়, হলুদের আরও অনেক গুণ রয়েছে, যার বেশিরভাগই আমাদের অজানা। হলুদ কি?  হলুদ বা হালদি যার বৈজ্ঞানিক নাম: Curcuma longa হল এক ধরনের মশলা যা হলুদ গাছের শিকড় থেকে পাওয়া যায়। এটি ভারত, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে রান্নায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি আদা পরিবারের (Zingiberaceae) অন্তর্গত একটি ভেষজ উদ্ভিদ। হলুদ (মসলা) কিভাবে তৈরি হয়? হলুদ গাছের মূল কয়েক ঘন্টা সিদ্ধ করা হয়, তারপর একটি গরম চুলায় শুকানো হয়। তারপর শিকড় গুঁড়ো করা হয় এবং একটি গাঢ় হলুদ গুঁড়া পাওয়া যায়। দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এই হলুদ গুঁড়া খাবার তৈর