Skip to main content

Posts

জেনে নিই গর্ভবতী মায়ের যত্ন ও পরামর্শ | Pregnancy care

গর্ভের শিশুর শারীরিক ও মানসিক পরিপূর্ণ বিকাশের পূর্বশর্ত হচ্ছে মায়ের সুস্থতা সুনিশ্চিতকরণ। এ জন্য একজন নারীকে নিজেই যেমন হতে হয় স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন, তেমিন গর্ভবতী মায়েদের প্রতি যত্নশীল হতে হয় পরিবারের সবার। গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা গর্ভস্থ সন্তান ও মা' উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২৮০০০ মহিলা গর্ভসঞ্চারজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। পাশাপাশি নবজাতক মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৮৩ জন। মা ও শিশুর এ অকাল মৃত্যুর অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। কিন্তু এ প্রতিরোধ আমাদের দেশে সম্ভব হয়ে উঠছে না মূলত স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবে। তাই গর্ভবতী মা-এর যত্ন সম্বন্ধে নিজেকে জানতে হবে ও অনেক জানতে সাহায্য করতে হবেl গর্ভকালীন সময়ে একজন মাকে যে স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয় তাই গর্ভকালীন সেবা । গর্ভধারণের সময় হতে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত সময়কালে মা ও শিশুর যত্নকে গর্ভকালীন যত্ন বা Antinatal Care বলে। এই গর্ভকালীন যত্নের লক্ষ্য হলো মা ও শিশুর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং গর্ভজনিত কোনো জটিলতা দেখা দিলে তার প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করা। এক কথায় মায়ের স্বাস্থ্যের কোনো অবনতি ছ

কাঁচা হলুদের গুণাগুণ ও উপকারিতা | Properties and benefits of Raw Turmeric

হলুদকে Miracle Herb বা অলৌকিক ভেষজ বলা বলা হয়। হলুদ আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি মসলা, যা ছাড়া আমাদের প্রতিদিনের রান্নাঘরের রান্না অসম্পূর্ণ থেকে যায়। জানতে আরও পড়ুন:  ভেষজ গুণের ডুমুর(Ficus)- জেনে নিন ৪০ টি উপকারিতা হলুদ বাঙালী রান্নার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য উপাদান, শুধুমাত্র বাঙালিদের জন্য নয়, সমগ্র ভারত এবং প্রায় সমগ্র এশিয়ার জন্য। হলুদ শুধু রান্নায় রঙই আনে না, স্বাদের জন্যও এটি অপরিহার্য। তবে শুধু রান্নার জন্য নয়, হলুদের আরও অনেক গুণ রয়েছে, যার বেশিরভাগই আমাদের অজানা। হলুদ কি?  হলুদ বা হালদি যার বৈজ্ঞানিক নাম: Curcuma longa হল এক ধরনের মশলা যা হলুদ গাছের শিকড় থেকে পাওয়া যায়। এটি ভারত, বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশে রান্নায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি আদা পরিবারের (Zingiberaceae) অন্তর্গত একটি ভেষজ উদ্ভিদ। হলুদ (মসলা) কিভাবে তৈরি হয়? হলুদ গাছের মূল কয়েক ঘন্টা সিদ্ধ করা হয়, তারপর একটি গরম চুলায় শুকানো হয়। তারপর শিকড় গুঁড়ো করা হয় এবং একটি গাঢ় হলুদ গুঁড়া পাওয়া যায়। দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে এই হলুদ গুঁড়া খাবার তৈর

জেনে নিই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (Nexus) এর সুবিধা, অসুবিধা এবং ব্যবহার

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হাইপারটেক্সট মার্ক-আপ ভাষা বা এইচটিএমএল ব্যবহার করে হাইপারমিডিয়াকে বোঝায়। এটি WWW বা W3 নামে পরিচিত। যখন ব্যবহারকারী সম্ভাব্য শব্দের উপর ঘোরাফেরা করে এবং মাউস বোতামে ক্লিক করে, তখন লিঙ্কযুক্ত নথির যে অংশে তথ্য রয়েছে তা প্রদর্শিত হবে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব/www ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব টিম বার্নার্স-লি দ্বারা উদ্ভাবিত হয়েছিল এবং প্রথম সংযোগটি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব প্রযুক্তি ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে রয়্যালটি-মুক্ত ভিত্তিতে যেকোন ব্যক্তির ব্যবহারের জন্য উপলব্ধ হয়, যা ইন্টারনেট নামে পরিচিত কম্পিউটারগুলির একটি বিশ্বব্যাপী ওয়েব মানুষকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে, যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে পরিচিত। ইন্টারনেট ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মাধ্যমে তথ্যের দ্রুত এবং সহজ আদান প্রদান করে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব হল ইন্টারনেটে তথ্য অ্যাক্সেস করার জন্য ডিজিটাল পৃষ্ঠাগুলির একটি বিশাল সংগ্রহ। WorldWideWeb হল প্রথম ওয়েব ব্রাউজার এবং ওয়েব পেজ এডিটর। এটি ছিল প্রথম WYSIWYG HTML সম্পাদক। সফ্টওয়্যার এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মধ্যে বিভ্রান্তি এড়াতে

আমাজন সিল্ক ব্রাউজারের সুবিধা, অসুবিধা এবং পর্যালোচনা

অ্যামাজন নতুন সফ্টওয়্যার চালু করেছে: অ্যামাজন সিল্ক তার নতুন ট্যাবলেট, কিন্ডল ফায়ারের পাশাপাশি, অ্যামাজন সিল্ক ট্যাবলেটের জন্য একটি নতুন ওয়েব ব্রাউজার, এবং এটি কিন্ডল ফায়ারে প্রি-লোড হবে৷ অ্যামাজন সিল্ক হল সিল্কের একটি সুতো, এটি দুটি ভিন্ন জিনিসের মধ্যে একটি অদৃশ্য কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী সংযোগ, এবং এইভাবে ব্রাউজারটিকে অ্যামাজন সিল্ক বলে কারণ এটি কিন্ডল ফায়ার এবং অ্যামাজনের EC2 সার্ভারের মধ্যে সংযোগ। আমাজন সিল্ক ব্রাউজার অ্যামাজন সিল্ক হল একটি ওয়েব ব্রাউজার যা অ্যামাজন নিজেই তৈরি করেছে এবং নভেম্বর ২০১১ সালে কিন্ডল ফায়ার এবং ফায়ার ফোনের জন্য চালু করেছে। তারপরে এটি অ্যামাজন সিল্ক স্প্লিট আর্কিটেকচার ব্যবহার করে নভেম্বর ২০১৭ এ ফায়ার টিভি সংস্করণ চালু করে যেখানে কিছু প্রক্রিয়াকরণ অ্যামাজন দ্বারা করা হয়। এটি ওপেন সোর্স ক্রোমিয়াম প্রকল্পের উপর ভিত্তি করে ব্লিঙ্ক ইঞ্জিন ব্যবহার করে সার্ভার ওয়েবপেজ লোডিং কর্মক্ষমতা উন্নত করেছে। সিল্ক সিদ্ধান্ত নেয় কোন ব্রাউজার সাবসিস্টেম (নেটওয়ার্কিং, এইচটিএমএল বা পৃষ্ঠা রেন্ডারিং) ডিভাইসে চালানো হবে এবং কোনটি তার অ্যামাজন EC2 সার্ভারে দ

ভেষজ গুণের ডুমুর(Ficus)- জেনে নিন ৪০ টি উপকারিতা

ডুমুরের বৈজ্ঞানিক নাম Ficus। এটি হল Moraceae পরিবারের 850 টিরও বেশি প্রজাতির কাঠের গাছ। এই প্রজাতির গাছ, গুল্ম, লতাগুল্ম ইত্যাদি সমষ্টিগতভাবে ডুমুর গাছ বা ডুমুর নামে পরিচিত। ডুমুর নরম ও মিষ্টি ফল। ফলের আবরণের অংশ খুব পাতলা এবং ভিতরে অনেক ছোট বীজ থাকে। এর ফল শুকনো ও পাকিয়ে খাওয়া যায়। এই প্রজাতি উষ্ণ জলবায়ুতে বৃদ্ধি পায়। কখনও কখনও এটি চাটনি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, ডুমুর স্ন্যাক খাবারে ব্যবহার করা হয়। পৃথিবীতে আল্লাহতায়ালা যেসব বেহেশতি ফল দান করেছেন তার মধ্যে ডুমুর অন্যতম। ডুমুরের গুরুত্ব বিবেচনা করে আল্লাহ ডুমুরের নামে একটি সুরার নামকরণ করেন সুরা ত্বিন। সুরা ত্বিনে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন— ‘ভাবো ডুমুর ও জয়তুনের কথা এবং সিনাই পর্বতের কথা এবং এ নিরাপদ শহরের (মক্কা) কথা আর আমরা মানুষকে বানিয়েছি সর্বোত্তম শারীরিক গঠনে। ’ সুরা আত ত্বিন। ডুমুরের জৈব রাসায়নিক উপাদান ডুমুরে প্রচুর শর্করা ও বিভিন্ন বিজারক চিনি যেমন ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ পাওয়া যায়। এতে ৫০% পর্যন্ত মনোস্যাকারাইড ও অলিগো-স্যাকারাইড থাকে। এতে কিছু ফিউরানো কোমারিন যেমন সোরালিন ও বারগাপটিন পাওয়া যায়। ডুমুরে সাইট্রিক এসিড, ম্যা

ক্লাউড কম্পিউটিং(Cloud Computing) কি?

'ক্লাউড কম্পিউটিং' মানে কি ক্লাউড এবং কম্পিউটার সম্পর্কিত কিছু? নাকি অন্য কিছু ? ক্লাউড কম্পিউটিং মানে হলো আপনার দরকারে টাকার বিনিময়ে কোনো ডিজিটাল সার্ভিস ভাড়া করা। ধরুন আপনার একটি কোম্পনি আছে। আপনার কোম্পানির কাস্টমারের এত যে ডিজিটাল ডাটা সেগুলো কোথায় সেভ করবেন? আপনি আপনার হার্ডডিস্কে সেভ করবেন না কারণ একটা সময় সময় হার্ড ডিস্ক ভর্তি হয়ে যাবে বা হার্ড ডিস্ক নষ্ট হয়ে গেলে মুশকিল। তাহলে আপনার এত এতো ডাটা সুরক্ষিত ভাবে কোথায় সেভ রাখবেন ? এখানেই সামনে আসে ক্লাউড কম্পিউটিং। কিছু ক্লাউড কম্পিউটিং কোম্পানি থাকে যার কিছু টাকার বিনিময়ে আপনাকে সার্ভিস প্রদান করে যাতে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন। ডাটা সেভ করতে পারবেন ও দরকার পড়লে আপনার কোম্পানির প্রত্যেকটা লোক এক্সেস করতেও পারবে সুরক্ষিত থাকবে ,খরচ অনেক কম পড়বে,আপনার কোম্পানির প্রত্যেকটা কম্পিউটারে access করতেও  ক্লাউড কম্পিউটিং কি ?What is Cloud Computing?  ক্লাউড কম্পিউটিং এমন কিছু পরিষেবা যা একটি ক্লাউড কম্পিউটিং কোম্পানি অর্থের বিনিময়ে তার গ্রাহক কোম্পানিকে প্রদান করে। যেখানে আপনি ইন্টারনেট অ্যাক্সেস, সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ভাড়া, ম

জেল হত্যা দিবস| The Jail Killing Day

জেল হত্যা দিবস বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারের ভেতরে নির্বিচারে এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। রাষ্ট্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতা নিহত হওয়ার এ দিনটিকে ‘জেল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ৩ নভেম্বর, জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে কারাগারে বন্দী চারজন প্রবীণ ও বিশিষ্ট রাজনীতিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাদের সবার ছিল বিপুল অবদান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এটি ছিল পরবর্তী জঘন্যতম নির্মম হত্যাকাণ্ড। ৩ নভেম্বর মধ্য রাতে কারাবন্দী জাতীয় যে চার নেতাকে হত্যা করা হয় তারা হলেন- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গ্রেফতার হওয়া নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন স্বাধীনতা-সংগ্রামে প্রবাসী সরকারের উপরাস্ট্রপতি হসিবেে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী ও কামরুজ্জামান ছিলেন স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী।  ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টে