Skip to main content

Posts

ডেটাবেজ (Database) কি ? ডেটাবেজ এর ধারণা ও ব্যবহার

আমরা যারা প্রযুক্তিতে একটু আগ্রহী তারা সবাই ডাটাবেস শব্দের সাথে পরিচিত কিন্তু কেউ যখন আমাদেরকে ডাটাবেস সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জিজ্ঞেস করে তখন আমরা সঠিকভাবে বলতে পারি না। আরো জানতে এই নিবন্ধটি পড়ুন:  ১০টি প্রযুক্তি যা আগামী ১০ বছরে বিশ্বকে বদলে দেবে আজ আমি এই আর্টিকেলে খুব সহজে ডাটাবেস সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক বিষয় ব্যাখ্যা করব। আজকে আপনারা জানবেন ডাটাবেস কি এবং কত প্রকার, রিলেশনাল ডাটাবেস কি, কম্পিউটার ডাটাবেস কি, কিভাবে ডাটাবেস তৈরি করতে হয়। Data কি ? আপনি যদি ডাটাবেস সম্পর্কে জানতে চান তবে প্রথমে আপনাকে ডেটা কী তা জানতে হবে। আমরা কম বেশি সবাই জানি ডাটা আসলে কি। সহজে বলতে গেলে ডাটা বলতে কোনো কিছুর information কে বোঝায়।  আপনার ক্ষেত্রে ডাটা কি হতে পারে ? আপনার নাম ,ইমেইল ,ঠিকানা। ফোন নম্বর ইত্যাদি এক একটি ডাটা। আবার, একটি স্কুলের ক্ষেত্রে, তার ছাত্রদের ব্যক্তিগত তথ্য এক ধরনের ডেটা। আবার একটি ব্যাঙ্ক এ কাস্টমারের ব্যাঙ্ক detailsই হলো ডাটা। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে সব ক্ষেত্রে ডাটা রয়েছে সুতরাং একটি স্কুলের যেমন ডাটা রাখার প্রয়োজন রয়েছে তেমনি একটি ব্যাংকেরও ডাটা কোথাও জমা রাখার প্রয়...

রহস্যময় উত্তর মেরু

উত্তর মেরু। বরফসমুদ্রে দিনরাতের হিসাবটা একেবারেই ভিন্ন। ৬ মাস দিনের পর আসে ৬ মাস রাত। সেখানে বসবাস করা এস্কিমো বা ইনুইট জাতির মানুষ বাড়ি বানায় বরফ দিয়ে। সে বাড়ি গলে যায় গ্রীষ্মকালে। খাবার বলতে কাঁচা মাংস, মাছ আর কিছু ঘাস। পশুর চামড়া তাদের পোশাক। সিল মাছের তেল দিয়ে ঘরের প্রদীপ জ্বালায় তারা। সময় না মানা, ভাসমান বরফে উত্তর মেরু আর এস্কিমোদের অবাক জীবন নিয়ে আজকের রকমারি— উত্তর মেরু জয়ের ইতিহাস উত্তর মেরু জয়ের ইতিহাস এভারেস্ট জয়ের চেয়ে কম রোমাঞ্চকর নয়। কিন্তু উত্তর মেরুতে কে প্রথম পা রাখল তা নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি রয়েছে। আমেরিকান অভিযাত্রী ফ্রেডেরিক আলবার্ট কুক 21 এপ্রিল 1908 সালে দুই সঙ্গীর সাথে উত্তর মেরুতে প্রথম পা রাখার দাবি করেন। কিন্তু এ বিষয়ে সন্তোষজনক প্রমাণ দিতে না পারায় কুককে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। কিন্তু উত্তর মেরু জয়ের কৃতিত্ব যে ব্যক্তিটির, তিনি হলেন আমেরিকান নৌবাহিনীর প্রকৌশলী রবার্ট পিয়ারি। পিয়েরে 6 এপ্রিল, 1909-এ প্রথম উত্তর মেরুতে পা রাখার দাবি করেছিলেন। কিন্তু তার দাবিটিও বিতর্কিত। কারণ যদিও তার যাত্রার প্রাথমিক পর্যায়ে তার 5 জন সঙ্গী ছিল, তবে চূড়ান্ত পর্যায়ে ...

সার্চ ইঞ্জিন(SEO) কিভাবে কাজ করে?

সার্চ ইঞ্জিন একটি টুল। যা ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলোকে পজিশন প্রদান করে এবং মানুষ কোন কিছু সার্চ করলে তার রেজাল্টে ফলাফল প্রকাশ করে। আরও পড়ুন - কিভাবে seo ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন  সার্চ ইঞ্জিন দুই ভাবে কাজ করে থাকে। প্রথম ইনডেক্স করে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট বা ওয়েব কন্টেন্ট দ্বিতীয় এলগোরিদাম। দ্বিতীয়ত এলগোরিদামের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন একটি ওয়েব কন্টেন্টকে Rank প্রদান করে থাকে। সার্চ ইঞ্জিন কি? সার্চ ইঞ্জিন হল এক ধরনের সফটওয়্যার সিস্টেম যা ব্যবহার করে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের তথ্য খুঁজে বের করা যায়। সার্চ ইঞ্জিন একধরনের ডিজিটাল লাইব্রেরীরি যেখানে লক্ষ লক্ষ তথ্য সংরক্ষিত অবস্থায় থাকে। যেখানে থেকে সার্চ করে নিদিষ্ট তথ্য বা বিষয় বের করা যায়। সার্চ ইঞ্জিনে আমরা যখন কোন কিছু সার্চ করি তখন ইঞ্জিন এলগোরিদাম একটি নিদিষ্ট প্রোসেসের মাধ্যমে আমাদের কাছে সব থেকে রিলেটেড রেজাল্টি প্রকাশ করে। সার্চ ইঞ্জিনের লক্ষ্য কি? প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনের লক্ষ্য হল তাদের গ্রাহকের সার্চ কোয়ারি অনুসারে সব থেকে রিলেটেড রেজাল্টি প্রদান করা। কারন তারা যেন তাদের মার্কেট শেয়ারটি ধরে রাখতে পারে। সার্চ ইঞ্জিনের উদ...

আরাকান ও রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত (পর্ব - ৩ )

সু চি যেভাবে এক যুবকের স্বপ্ন পুড়িয়ে দিলেন রো মাইয়ু আলী। বয়স ২৬ বছর। টগবগে রোহিঙ্গা তরুণ। স্বপ্ন ছিল লেখক হওয়া। এগোচ্ছিলেন সেভাবেই। তিনি নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছিলেন পাঠাগার। পাঠাগারটি ছিল তার অত্যন্ত প্রিয়। সেনাদের আগুনে পুড়ে গেছে সেই গ্রন্থশালা। ছাই হয়ে গেছে তার স্বপ্ন, লেখক হওয়ার স্বপ্ন। আরো পড়ুন: আরাকান ও রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত (পর্ব - ১ ) রো মাইয়ু আলী বর্তমানে থাকেন কক্সবাজারের কুতুপালং আশ্রয় ক্যাম্পে। সেখান থেকে আলজাজিরার মাধ্যমে লেখা এক খোলা চিঠিতে রাখাইন সঙ্কটের জন্য তিনি দায়ী করেছেন মিয়ানমারের নোবেলবিজয়ী নেত্রী অং সান সু চি কে। তার কাছে অনেকগুলো প্রশ্ন রেখে রোহিঙ্গা তরুণ মন্তব্য করেছেন, ইতিহাসে একজন সামরিক জান্তার সমান্তরালেই উচ্চারিত হবে সু চির নাম। এখানে চিঠির বিস্তারিত উপস্থাপন করা হলো : যে বছর আপনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান, আমার জন্ম সেই বছরেই। আমাদের দেশের (মিয়ানমার) যে কারো পাওয়া সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার এটি। রাখাইন রাজ্যের মংডুতে আমার জন্ম। আমরা সবাই সেদিন আনন্দে আত্মহারা হয়েছিলাম। মনে হয়েছিল যেন আমরা নিজেরাই পুরস্কার পেয়েছি। বছরের পর বছর সামরিক জান্তার...

আরাকান ও রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত (পর্ব - ২ )

রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের ধারাবাহিক চিত্র রোহিঙ্গারা সর্বপ্রথম জুলুমের শিকার হয় ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে। বার্মার খ্রিস্টান রাজা বোদাপাউপিয়া আরাকান দখল করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্দয়ভাবে নির্যাতন করে এবং সে সময় জীবন ও সম্ভ্রম রক্ষার্থে অনেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়। বার্মা ব্রিটিশদের দখলে এলে দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম অঞ্চলে নির্বাসনে থাকা রোহিঙ্গারা আবার তাদের মাতৃভূমি আরাকানে প্রবেশ করে। বার্মা ব্রিটিশদের অধীনে আসার পর এটিকে ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রদেশের মর্যাদা দেয়া হয় এবং সেটি ছিল বৃটিশ-ভারতের বৃহত্তম প্রদেশ। ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৭ সালে বার্মাকে ব্রিটিশ-ভারত থেকে পৃথক করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আলাদা রাজ্যের মর্যাদা দেয়। বার্মাকে ভারতবর্ষ হতে পৃথক করার পর রোহিঙ্গারা স্বাধীনতার জন্যে সংগ্রামে লিপ্ত হয়। এজন্যে ১৯৩৮ সালে আরাকানে বৌদ্ধ-মুসলিম মারাত্মক দাঙ্গা হয় এবং সে দাঙ্গায় বহু মুসলিম হতাহত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫) চলাকালে ১৯৪২ সালে জপান বার্মা দখল করে। জাপান বার্মা দখল করার পর স্থানীয় মগরা জাপানিদের বার্মা দখল করাকে সমর্থন করে এবং জাপানি সৈন্যদের সহায়তা নিয়ে ব্যাপকহারে মুসলিম রো...