Skip to main content

Posts

আরাকান ও রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত (পর্ব - ৩ )

সু চি যেভাবে এক যুবকের স্বপ্ন পুড়িয়ে দিলেন রো মাইয়ু আলী। বয়স ২৬ বছর। টগবগে রোহিঙ্গা তরুণ। স্বপ্ন ছিল লেখক হওয়া। এগোচ্ছিলেন সেভাবেই। তিনি নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছিলেন পাঠাগার। পাঠাগারটি ছিল তার অত্যন্ত প্রিয়। সেনাদের আগুনে পুড়ে গেছে সেই গ্রন্থশালা। ছাই হয়ে গেছে তার স্বপ্ন, লেখক হওয়ার স্বপ্ন। আরো পড়ুন: আরাকান ও রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত (পর্ব - ১ ) রো মাইয়ু আলী বর্তমানে থাকেন কক্সবাজারের কুতুপালং আশ্রয় ক্যাম্পে। সেখান থেকে আলজাজিরার মাধ্যমে লেখা এক খোলা চিঠিতে রাখাইন সঙ্কটের জন্য তিনি দায়ী করেছেন মিয়ানমারের নোবেলবিজয়ী নেত্রী অং সান সু চি কে। তার কাছে অনেকগুলো প্রশ্ন রেখে রোহিঙ্গা তরুণ মন্তব্য করেছেন, ইতিহাসে একজন সামরিক জান্তার সমান্তরালেই উচ্চারিত হবে সু চির নাম। এখানে চিঠির বিস্তারিত উপস্থাপন করা হলো : যে বছর আপনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান, আমার জন্ম সেই বছরেই। আমাদের দেশের (মিয়ানমার) যে কারো পাওয়া সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার এটি। রাখাইন রাজ্যের মংডুতে আমার জন্ম। আমরা সবাই সেদিন আনন্দে আত্মহারা হয়েছিলাম। মনে হয়েছিল যেন আমরা নিজেরাই পুরস্কার পেয়েছি। বছরের পর বছর সামরিক জান্তার

আরাকান ও রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত (পর্ব - ২ )

রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের ধারাবাহিক চিত্র রোহিঙ্গারা সর্বপ্রথম জুলুমের শিকার হয় ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে। বার্মার খ্রিস্টান রাজা বোদাপাউপিয়া আরাকান দখল করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্দয়ভাবে নির্যাতন করে এবং সে সময় জীবন ও সম্ভ্রম রক্ষার্থে অনেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়। বার্মা ব্রিটিশদের দখলে এলে দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম অঞ্চলে নির্বাসনে থাকা রোহিঙ্গারা আবার তাদের মাতৃভূমি আরাকানে প্রবেশ করে। বার্মা ব্রিটিশদের অধীনে আসার পর এটিকে ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রদেশের মর্যাদা দেয়া হয় এবং সেটি ছিল বৃটিশ-ভারতের বৃহত্তম প্রদেশ। ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৭ সালে বার্মাকে ব্রিটিশ-ভারত থেকে পৃথক করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আলাদা রাজ্যের মর্যাদা দেয়। বার্মাকে ভারতবর্ষ হতে পৃথক করার পর রোহিঙ্গারা স্বাধীনতার জন্যে সংগ্রামে লিপ্ত হয়। এজন্যে ১৯৩৮ সালে আরাকানে বৌদ্ধ-মুসলিম মারাত্মক দাঙ্গা হয় এবং সে দাঙ্গায় বহু মুসলিম হতাহত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫) চলাকালে ১৯৪২ সালে জপান বার্মা দখল করে। জাপান বার্মা দখল করার পর স্থানীয় মগরা জাপানিদের বার্মা দখল করাকে সমর্থন করে এবং জাপানি সৈন্যদের সহায়তা নিয়ে ব্যাপকহারে মুসলিম রো

আরাকান ও রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত (পর্ব - ১)

আরাকান ও  রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত। বার্মা ছিল ব্রিটিশ ভারতের বৃহত্তম প্রদেশ। ১৯৩৭ সালের ১ এপ্রিল ব্রিটিশ-ভারত সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আর একটি দেশে পরিণত করা হয় বার্মাকে। বার্মা ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হয়। আরো পড়ুন: আরাকান ও রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত (পর্ব - ২) বর্তমান মিয়ানমারের সাবেক নাম বার্মা। অনুরূপ বর্তমান রাখাইন প্রদেশের সাবেক নাম আরাকান।মিয়ানমারের সামরিক শাসক নে উইন ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে আরাকানের নাম পরিবর্তন করে ‘রাখাইন স্টেট’ নামকরণ করেন। একসময় চট্রগ্রাম ছিল আরাকানের অধীনে। ১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খাঁর পুত্র বুজুর্গ উমেদ খান এক নৌযুদ্ধে আরাকান রাজকে পরাজিত করে চট্টগ্রাম দখল করে নেন এবং চট্রগ্রামকে মোগল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন।  একদা আরাকান একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র ছিল। বিভিন্ন সময়ে আরাকান স্বাধীন রাজ্য হিসেবে হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধদের মাধ্যমে শাসিত হয়েছে। এখন এটি মায়ানমারের একটি প্রদেশ। বার্মার ১৪টি প্রদেশের মধ্যে একমাত্র আরাকানই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ। আরাকান নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশ থেকে এবং মূল ভূখণ্ড মিয়ানমার থেকে

১০টি প্রযুক্তি যা আগামী ১০ বছরে বিশ্বকে বদলে দেবে

সিসকোর প্রধান ভবিষ্যতবিদ ডেভ ইভান্সের মতে, 3D প্রিন্টার, সেন্সর নেটওয়ার্ক, ভার্চুয়াল মানব এবং উন্নয়নাধীন অন্যান্য প্রযুক্তিগুলি আগামী দশকে আমাদের বিশ্বকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করবে কম্পিউটেশনাল শক্তি যেমন দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়, রৈখিকভাবে নয়, তেমনি পরিবর্তনের হারও বাড়ে — এবং এর মানে হল যে পরবর্তী ১০ বছর গত ১০টির থেকে অনেক বেশি প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে প্যাক করা উচিত। বিঘ্নকারী প্রযুক্তি, তার প্রকৃতির দ্বারা, অপ্রত্যাশিত, কিন্তু এখনও বিশ্বজুড়ে R&D ল্যাবগুলির দ্বারা করা কাজগুলিকে দেখা এবং ভবিষ্যতে কী রয়েছে তার সূত্র দেখতে পাওয়া সম্ভব৷ এটি সিস্কোর প্রধান ভবিষ্যতবিদ এবং সিসকো ইন্টারনেট বিজনেস সলিউশন গ্রুপ (আইবিএসজি) এর প্রধান প্রযুক্তিবিদ ডেভ ইভান্সের পূর্ণ-সময়ের কাজ। সিসকো লাইভে, ইভান্স শীর্ষ 10টি প্রবণতার রূপরেখা দেয় যা 10 বছরে বিশ্বকে বদলে দেবে। গত এক বছরে অন্যান্য শিল্প বিশ্লেষক এবং স্বপ্নদর্শীদের সাথে সাক্ষাত্কারের উপর ভিত্তি করে এখানে তাদের একটি তালিকা রয়েছে। The Internet of Things 1: থিংস ইন্টারনেট(The Internet of Things) আমরা থ্রেশহোল্ড অতিক্রম করেছি যেখানে মানুষের চেয়ে