Skip to main content

Posts

আরাকান ও রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত (পর্ব - ২ )

রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের ধারাবাহিক চিত্র রোহিঙ্গারা সর্বপ্রথম জুলুমের শিকার হয় ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে। বার্মার খ্রিস্টান রাজা বোদাপাউপিয়া আরাকান দখল করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নির্দয়ভাবে নির্যাতন করে এবং সে সময় জীবন ও সম্ভ্রম রক্ষার্থে অনেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়। বার্মা ব্রিটিশদের দখলে এলে দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম অঞ্চলে নির্বাসনে থাকা রোহিঙ্গারা আবার তাদের মাতৃভূমি আরাকানে প্রবেশ করে। বার্মা ব্রিটিশদের অধীনে আসার পর এটিকে ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত একটি প্রদেশের মর্যাদা দেয়া হয় এবং সেটি ছিল বৃটিশ-ভারতের বৃহত্তম প্রদেশ। ব্রিটিশ সরকার ১৯৩৭ সালে বার্মাকে ব্রিটিশ-ভারত থেকে পৃথক করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আলাদা রাজ্যের মর্যাদা দেয়। বার্মাকে ভারতবর্ষ হতে পৃথক করার পর রোহিঙ্গারা স্বাধীনতার জন্যে সংগ্রামে লিপ্ত হয়। এজন্যে ১৯৩৮ সালে আরাকানে বৌদ্ধ-মুসলিম মারাত্মক দাঙ্গা হয় এবং সে দাঙ্গায় বহু মুসলিম হতাহত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ (১৯৩৯-১৯৪৫) চলাকালে ১৯৪২ সালে জপান বার্মা দখল করে। জাপান বার্মা দখল করার পর স্থানীয় মগরা জাপানিদের বার্মা দখল করাকে সমর্থন করে এবং জাপানি সৈন্যদের সহায়তা নিয়ে ব্যাপকহারে মুসলিম রো

আরাকান ও রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত (পর্ব - ১)

আরাকান ও  রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত। বার্মা ছিল ব্রিটিশ ভারতের বৃহত্তম প্রদেশ। ১৯৩৭ সালের ১ এপ্রিল ব্রিটিশ-ভারত সাম্রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আর একটি দেশে পরিণত করা হয় বার্মাকে। বার্মা ১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হয়। আরো পড়ুন: আরাকান ও রোহিঙ্গা মুসলমান : সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত (পর্ব - ২) বর্তমান মিয়ানমারের সাবেক নাম বার্মা। অনুরূপ বর্তমান রাখাইন প্রদেশের সাবেক নাম আরাকান।মিয়ানমারের সামরিক শাসক নে উইন ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে আরাকানের নাম পরিবর্তন করে ‘রাখাইন স্টেট’ নামকরণ করেন। একসময় চট্রগ্রাম ছিল আরাকানের অধীনে। ১৬৬৬ সালে শায়েস্তা খাঁর পুত্র বুজুর্গ উমেদ খান এক নৌযুদ্ধে আরাকান রাজকে পরাজিত করে চট্টগ্রাম দখল করে নেন এবং চট্রগ্রামকে মোগল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন।  একদা আরাকান একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র ছিল। বিভিন্ন সময়ে আরাকান স্বাধীন রাজ্য হিসেবে হিন্দু, মুসলিম ও বৌদ্ধদের মাধ্যমে শাসিত হয়েছে। এখন এটি মায়ানমারের একটি প্রদেশ। বার্মার ১৪টি প্রদেশের মধ্যে একমাত্র আরাকানই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ। আরাকান নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশ থেকে এবং মূল ভূখণ্ড মিয়ানমার থেকে

১০টি প্রযুক্তি যা আগামী ১০ বছরে বিশ্বকে বদলে দেবে

সিসকোর প্রধান ভবিষ্যতবিদ ডেভ ইভান্সের মতে, 3D প্রিন্টার, সেন্সর নেটওয়ার্ক, ভার্চুয়াল মানব এবং উন্নয়নাধীন অন্যান্য প্রযুক্তিগুলি আগামী দশকে আমাদের বিশ্বকে ব্যাপকভাবে পরিবর্তন করবে কম্পিউটেশনাল শক্তি যেমন দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়, রৈখিকভাবে নয়, তেমনি পরিবর্তনের হারও বাড়ে — এবং এর মানে হল যে পরবর্তী ১০ বছর গত ১০টির থেকে অনেক বেশি প্রযুক্তিগত পরিবর্তনে প্যাক করা উচিত। বিঘ্নকারী প্রযুক্তি, তার প্রকৃতির দ্বারা, অপ্রত্যাশিত, কিন্তু এখনও বিশ্বজুড়ে R&D ল্যাবগুলির দ্বারা করা কাজগুলিকে দেখা এবং ভবিষ্যতে কী রয়েছে তার সূত্র দেখতে পাওয়া সম্ভব৷ এটি সিস্কোর প্রধান ভবিষ্যতবিদ এবং সিসকো ইন্টারনেট বিজনেস সলিউশন গ্রুপ (আইবিএসজি) এর প্রধান প্রযুক্তিবিদ ডেভ ইভান্সের পূর্ণ-সময়ের কাজ। সিসকো লাইভে, ইভান্স শীর্ষ 10টি প্রবণতার রূপরেখা দেয় যা 10 বছরে বিশ্বকে বদলে দেবে। গত এক বছরে অন্যান্য শিল্প বিশ্লেষক এবং স্বপ্নদর্শীদের সাথে সাক্ষাত্কারের উপর ভিত্তি করে এখানে তাদের একটি তালিকা রয়েছে। The Internet of Things 1: থিংস ইন্টারনেট(The Internet of Things) আমরা থ্রেশহোল্ড অতিক্রম করেছি যেখানে মানুষের চেয়ে

Official Phone চেনার উপায় | অফিসিয়াল ফোন চেনার কোড

মোবাইল আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মোবাইল ছাড়া জীবন এখন অকল্পনীয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে মোবাইল ফোনটি আপনি ব্যবহার করছেন সেটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল। অনেক সময় আমরা দোকান থেকে না জানার কারণে আমাদের অজান্তেই আনঅফিসিয়াল মোবাইল কিনে ফেলি, তাই আমাদের খুঁজে বের করা উচিত যে আমাদের মোবাইলটি আমরা ব্যবহার করছি সেটি অফিসিয়াল মোবাইল নাকি আনঅফিসিয়াল মোবাইল।   অফিসিয়াল এবং আনঅফিসিয়াল ফোন চেনার কিছু উপায় আছে যার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার ব্যবহৃত ফোনটি অফিসিয়াল কিনা। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানব অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় ও অফিসিয়াল ফোন চেনার কোড নিয়ে আলোচনা করবো। অফিসিয়াল ফোন কি? অফিসিয়াল ফোন (Official Phone) বলতে আসলে বৈধ ফোনকে বুঝায়। যে ফোনগুলি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত  সেই সকল ফোনকে অফিসিয়াল ফোন বলে। অর্থাৎ বিদেশ থেকে সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে আমাদের দেশের বাজারে আসা সব ফোনই অফিসিয়াল ফোন। অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায় আপনার প্রিয় ফোনটি অফিসিয়াল কি না তা জানতে এই পোস্টটি আপনাকে সাহায্য করবে। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন জেনে নেই আপনার ফোনের বৈধতা জানার উপায়গুলো। প্রথমে অফিসিয়াল

ক্রোধ (Anger) দমনের বৈজ্ঞানিক কৌশল

ক্রোধ বা রাগ ষড়ঋপুর মধ্যে অন্যতম। তীব্র অসন্তুষ্টির প্রকাশকে রাগ বলে। এটি মানুষের আত্মিক একটি ব্যাধি। এই অনুভূতির প্রকাশ মুখের অভিব্যক্তি বিকৃত করে এবং অপরের কাছে তা ভীতির সঞ্চার করে। অতিরিক্ত রাগ রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করতে পারে। হার্ট অ্যাটাক বা মস্তিষ্কে রক্তপাতের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। রাগ মানবদেহে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। রক্তে শর্করার ওঠানামা শুরু হয়। রাগান্বিত লোকদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হ্রাস পে। অতিরিক্ত রাগের কারণে পাকস্থলীর কোষগুলো জ্বালাপোড়া করে এবং অ্যাসিড নিঃসরণ বেড়ে যায়। ডাক্তাররা রাগ নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই রাগ তার শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ক্ষতি, তেমনি তা অনেক পাপের পথ খুলে দেয়। ক্রোধ কি? -  ক্রোধ দমনের বৈজ্ঞানিক কৌশল ক্রোধ হল একটি স্বাভাবিক তীব্র মানসিক অবস্থা যা আঘাত করা অনুভূতির জন্য একটি শক্তিশালী অস্বস্তিকর এবং অসহযোগিতার প্রতিক্রিয়া। ক্রোধের সম্মুখীন ব্যক্তি প্রায়ই মানসিক অবস্থার পাশাপাশি শারীরিক প্রভাবও অনুভব করেন। যেমন হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ এবং অ্যাড্রেনালিন এবং নরড্রেনালিনের মাত্রা বৃদ্ধি। কেউ কেউ রাগকে একটি আবেগ

কিভাবে seo ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন?

SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কি? আমরা সবাই জানি এসইও মানে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সুতরাং, এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল হল সেই আর্টিকেল যা সার্চ ইঞ্জিনের বিভিন্ন ফ্যাক্টর অনুযায়ী সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করা হয়। যেকোন বিষয়বস্তু লেখার জন্য এসইওর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসইও এর পূর্ণরূপ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষে থাকবে আপনার যেকোনো কন্টেন্ট। SEO ছাড়া কিন্তু আপনি খুব সহজেই আপনার সাইটটিকে Rank এ আনতে পারবেন না। আপনার সাইট যদি rank এ আনতে প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে এসইও জানতে হবে। এটা একটু জটিল কিন্তু আপনার জন্য খুব কঠিন নয়। যে কেউ অল্প প্রচেষ্টায় একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল তৈরি করতে পারে। আজকের মূল বিষয় হল কিভাবে একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হয়। যেহেতু আপনি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল তৈরি করতে চান, তাই আপনার জন্য কয়েকটি জিনিস জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  যেভাবে seo ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন-  ১ ।  কিভাবে seo ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখবেন - Keyword Research SEO-ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা মোটেই একটি সহজ কাজ নয়। একটি মানসম্মত আর্টিকেল লেখার পূর্বে অবশ্যই কিছু স