Skip to main content

Posts

ইসলামে শ্রমের মর্যাদা

শ্রম দিয়ে কিংবা মেহনত করে যারা জীবিকা অর্জন করে তাদেরকে বলা হয় শ্রমিক, মজদুর বা মেহনতী মানুষ। ইসলামে শ্রমের মর্যাদা অপরিসীম। ইসলামে শ্রমের মর্যাদা যেমন দেওয়া হয়েছে, তেমনি শ্রমিকেরও মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন— ‘নিশ্চয়ই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি শ্রমনির্ভর করে।’ সূরা বালাদ:৪। শ্রম দ্বারা যে মানুষ হালাল জীবিকা উপার্জন করে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাকে আল্লাহর বন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেছেন। একজন শ্রমিক তার শ্রমের মূল্য যাতে প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে পায় এমনটিই নিশ্চিত করা হয়েছে ইসলামী বিধানে। এ সম্পর্কে রাসুল (সাঃ)নির্দেশ দিয়েছেন— ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর আগেই তার মজুরি পরিশোধ করতে হবে।’ (সুনামে ইবনে মাজাহ)। শ্রমিক নিয়োগের পূর্বে শ্রমের মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। রাসূল (সাঃ) শ্রমিকের পারিশ্রমিক নির্ধারণ না করে শ্রমিক নিয়োগ দিতে নিষেধ করেছেন। (নাসায়ি)। শ্রমিকদের ওপর সাধ্যাতীত কাজ চাপিয়ে দেয়া জুলুম। রাসূল (সাঃ)বলেছেন, অধীনস্থদের জন্য খাবার ও পোশাকের ব্যবস্থা করবে, তাদের ওপর সাধ্যাতীত কাজ চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। (মুসলিম)। ইসলাম শ্রমিকের সঙ্গে সদাচরণের শিক্ষা দেয়। শ্রমজীব

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি বাড়ানোর কিছু কার্যকরী টিপস

বর্তমানে  সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড। দিনে দিনে আন্ড্রয়েড ফোনের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। পৃথীবির প্রায় অর্ধেকের ও বেশি মানুষ অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে। কেউ চায়না তাদের স্মার্টফোন স্লো কাজ করুক। কিন্তু অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। কিছু কারনে এসব সমস্যা হয়ে থাকে। এই কারনগুলো যদি এড়িয়ে চলা যায় তাহলে সমস্যা থেকে সমধান পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফোনের গতি বাড়ানোর কিছু কার্যকরী টিপস: ভাল মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা: সাধারনত বেশির ভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনে মেমোরি কার্ড  ব্যবহার করা হয়। আমরা মোবাইল ফোনের যায়গা বাড়ানোর জন্য মেমোরি কার্ড ব্যবহার করে থাকি । কিন্তু মেমোরি কার্ড ব্যবহার করার সময় মেমোরি কার্ডটি মানসম্মত কি না তা যাচাই করে দেখি না । নিম্নমানের মেমোরি ব্যবহার করার ফলে একদিকে যেমন অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি কমে যায় অপরদিকে মেমোরি কার্ড ডেটা ট্র্যান্সফারের গতি কম থাকে । এক্ষেত্রে, আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল কম্পিউটার এ ব্যাকআপ রেখে মেমোরি কার্ড ফরম্যাট করে আবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন । অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি ভাল রাখতে হলে আপনি অবস্যই মান সম্মত মেমোরি কার্ড ব্য

গুগল সার্চের কার্যকরী ব্যবহার

গুগলে আমরা কি না সার্চ করি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, যে একদিন গুগল ছাড়া আমরা হয়তো কাটাতে পারবনা। আর এমন হবে না কেন বলুন? গুগল তো আমাদের সার্ভিস দিয়েই যাচ্ছে। আর এর অধিকাংশ সার্ভিসই ফ্রী। তবে একটা কথা সত্যি, যে আমরা অনেকেই গুগল এর সার্ভিসগুলোর সঠিক ব্যবহার করছি না। কিংবা কে জানে, হয়তো আমরা ব্যবহার করতেই জানিনা। সার্চ ইঞ্জিনের কথাই ধরুন। গুগলে কোন কিছু খোঁজার দরকার হলে আমরা নির্দিষ্ট শব্দ বা বাক্য/বাক্যাংশ দিয়ে সার্চ করেই সন্তুষ্ট থাকি। কিন্তু, সঠিকভাবে সার্চ না করার কারণে, আমাদের অনেক সময় গুগল অপ্রয়োজনীয় সার্চ রেজাল্ট বা ওয়েব পেজ এ নিয়ে যায় আর এ কারণে আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। একটা উদাহরণ দেইঃ মনে করুন আপনার এই মুহূর্তে দরকার আমেরিকার নিউ ইয়র্ক এর সময় জানা। আমাদের অনেকেই হয়তো গুগলে “world time” লিখে সার্চ দেবে। তারপরে সার্চ রেজাল্ট থেকে একটা পছন্দের ওয়েব পেজে যেয়ে বের করবে নিউ ইয়র্কের সময়। অথচ, গুগলে যদি শুধুমাত্র “time NY” লিখে আমরা সার্চ দিতাম, তাহলে কোন ওয়েব পেজে যাওয়া ছাড়াই সার্চ রেজাল্ট থেকে নিউ ইয়র্কের বর্তমান সময়টা পেয়ে যেতাম। তাই আজকে আমি গুগল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে অধিকতর কার্য

মোবাইল ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে

  বেশ কিছু অর্থ খরচ করে শখের জিনিসটি কিনতে গেলে নানা দোটানায় পড়তে হয়। এটা ভালো হবে তো, নাকি ওটা? এমন আরো অনেক প্রশ্ন। এ যুগে অতিপ্রিয় মোবাইল ফোনসেট কেনার সময় তো চিন্তার শেষ নেই। তাই আপনাদের মস্তিষ্কের চাপ কিছুটা কমিয়ে দিতে মোবাইল ফোনসেট কেনার ১৯টি  টিপস দেওয়া হলো। ১. ডিজাইন নিয়ে একটু চিন্তা করুন স্মার্ট ফোনের ক্ষেত্রে ডিজাইনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বিষয়ে কারো কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার কিছু নেই। এটা একান্ত নিজের রুচির ব্যাপার। বাজারের সব স্মার্ট ফোনের নজরকাড়া ডিজাইন রয়েছে। আবার বিভিন্ন কেস রয়েছে ফোনটিকে আরো আকর্ষণীয় করার জন্য। কাজেই নিজের ব্যক্তিগত চাহিদা এবং রুচি অনুযায়ী ডিজাইন পছন্দ করাই ভালো। ২. ওজন এবং অনুভূতি মোবাইল ফোনসেটের এ বৈশিষ্ট্য নিয়ে কেউ তেমন মাথা ঘামায় না। অনেক ফোন আছে যা পকেটে থাকলে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে কিছু একটা রয়েছে। মোবাইল ফোনসেট যত বড় হয় সাধারণত এর ওজনও তত বেশি হয়। তবে এসব দেখার আগে খেয়াল করবেন ফোনসেটে ব্যাটারি লাগানো রয়েছে কি না। কারণ ব্যাটারির ওজনটিও বেশ হয়। ৩. পর্দার আকারটিই সবকিছু নয় একটি নতুন মোবাইল ফোন কেনার সময় স্ক্রীন সাইজ সবাই দেখে। এখন বড় পর্দার ম

কম্পিউটারের কিছু সাধারণ সমস্যা ও সমাধান

প্রতিদিন কম্পিউটার ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা কিছু সাধারণ সমস্যার সম্মুখীন হই। হয়তোবা সমস্যাটি ছোট কিন্তু জানা না থাকার কারনে সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হয়। এ জন্য অনেক সময় ও অর্থ খরচ করতে হয়। কিন্তু সামান্য কিছু ধারণা থাকলে আপনি ঘরে বসে ঠিক করতে পারেন আপনার কম্পিউটারটি। আজকের এই আলোচনায় আমি কম্পিউটারের কিছু সাধারণ সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো। সমস্যা – ১  প্রায়ই কম্পিউটার অন করার পর দেখা যায় পিসি রানিং কিন্তু কোন ডিসপ্লে নেই। রিস্টার্ট দেয়ার পরেও সেই একই অবস্থা। বেশিরভাগ সময় এই সমস্যা হয় RAM  থেকে। RAM  এর স্লট থেকে RAMখুলে স্লট এবং RAM পরিস্কার করলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব। অনেক সময় মনিটরের গ্রাফিক্স/ভিজিএ কেবল ঠিকভাবে লাগানো না থাকলেও এ সমস্যা হতে পারে। র্যাম পরিস্কার করার পরেও একই সমস্যা থাকলে ধরে নিতে হবে পাওয়ার সাপ্লাই, মাদারবোর্ড কিংবা প্রসেসর থেকে সমস্যা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যাওয়াই উত্তম। সমস্যা – ২  পিসিতে পাওয়ার নেই। এটি ৩টি কারনে হতে পারে –  পাওয়ার কেবল নষ্ট – মনিটরের পাওয়ার কেবল সিপিউতে লাগিয়ে চেক করতে পারেন কেবলটি ভালো আছে কিনা। পাওয়ার সাপ্লাই নষ্ট – পাওয়

BitLocker - একটি অকল্পনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা

বর্তমান এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে কম্পিউটার জগতে ক্রমবর্ধমান এক আতঙ্কের নাম কম্পিউটার হ্যাকিং। এখন সবসময় আমাকে চিন্তা করতে হয় আমার তথ্য নিরাপদ আছে তো! এই সমস্যা শুধু আমার একার নয়। তাই ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে গবেষকগণ প্রতিনয়ত গবেষণা করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ 7 এর মাধ্যমে বিটলকার নামে একটি অকল্পনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এটি এমন একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা যেখানে অপারেটিং সিস্টেমের পাসওয়ার্ড সহজে হ্যাক করা যায় না। এটি আপনাকে পাসওয়ার্ড, উইন্ডোজ স্টার্টআপ লক এবং আরও অনেক কিছু দিয়ে আপনার প্রতিটি ড্রাইভকে সুরক্ষিত করার সুযোগ এনে দিয়েছে। BitLocker কি? বিটলকার ড্রাইভ এনক্রিপশন, বা বিটলকার একটি মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ সুরক্ষা এবং এনক্রিপশন বৈশিষ্ট্য যা উইন্ডোজের কিছু নতুন সংস্করণের সাথে অন্তর্ভুক্ত। বিটলকার ব্যবহারকারীদের সেই ড্রাইভে সবকিছু এনক্রিপ্ট করতে সক্ষম করে যেটিতে উইন্ডোজ ইনস্টল করা আছে, সেই ডেটাকে চুরি বা অননুমোদিত অ্যাক্সেস থেকে রক্ষা করে। মাইক্রোসফ্ট বিটলকার অননুমোদিত ডেটা অ্যাক্সেস হ্রাস করে ফাইল এবং সিস্টেম সুরক্ষা উন্নত করে। এটি 128- বা 256-বিট কীগুলির

ভিপিএন কি? এটা কী কাজে লাগে?

আমাদের সবার কাছে VPN একটি অতি পরিচিত শব্দ। তবে ভিপিএন শব্দটি পরিচিত হলেও এটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা আমাদের অনেকের নেই। তাই আজ আমরা সংক্ষেপে আলোচনা করব ভিপিএন কি, এটা কী কাজে লাগে? ভিপিএন কি? VPN এর পূর্ণরূপ হল Virtual Private Network। এটি একটি সুরক্ষিত সংযোগ যা আমাদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো ডিভাইসকে একটি নেটওয়ার্কের সাথে নিরাপদে সংযুক্ত করতে দেয়। VPN যেকোনো পাবলিক নেটওয়ার্ক, প্রাইভেট নেটওয়ার্ক, ওপেন ওয়াইফাই হটস্পট সংযোগ রক্ষা করে। VPNগুলি আপনার ইন্টারনেট ট্র্যাফিক এনক্রিপ্ট করে এবং আপনার অনলাইন পরিচয় গোপন করে, তৃতীয় পক্ষকে আপনার অনলাইন কার্যকলাপ ট্র্যাক করা এবং ডেটা চুরি করা থেকে বাধা দেয়। আরও গুরুত্বপূর্ণ, ভিপিন ব্যবহার করে আপনি আপনার ডিভাইসকে অনলাইন হ্যাকারদের থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। আর তাই VPN এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভিপিএন ব্যবহার করলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারের আইপি ঠিকানা পরিবর্তন হয়। আপনার আইপি ঠিকানার পরিবর্তে, অন্য দেশের একটি আইপি ঠিকানা প্রদর্শিত হয়। অতএব, আপনি কোথায় থেকে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করছেন তা জানা সম্ভব নয়। আপনি যদি