Skip to main content

Posts

ইয়াবা (একটি উত্তেজক মাদকদ্রব্য)

এক ধরনের মাদক। এটি মেথামফেটামিন এবং ক্যাফেইনের মিশ্রণ। ইয়াবা মূল শব্দটি থাই ভাষা থেকে এসেছে। এর বাংলা অর্থ ‘পাগলা ওষুধ’। অনেকে একে ‘Crazy  Medicine ’ বলে থাকেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইয়াবা আবিষ্কৃত হয়। দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা সৈন্যদের ক্লান্তি দূর করতে জার্মান প্রেসিডেন্ট অ্যাডলফ হিটলারের নির্দেশে ইয়াবা উদ্ভাবন করা হয়। দেশটির বিজ্ঞানীরা পাঁচ মাসের প্রচেষ্টায় এটি তৈরি করেছেন। ইয়াবা মুলত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে এবং তা ককেইন এর চেয়েও দীর্ঘস্থায়ী। প্রথমদিকে ইয়াবা যৌনউত্তেজক বড়ি হিসাবে বাজারে পরিচিত ছিলো।  কিন্তু দীর্ঘদিন সেবনের ফলে যৌন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ড্রাগ ইনফরমেশন এর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী ইয়াবা ট্যাবলেটি খেলে সাময়িক ভাবে উদ্দীপনা বেড়ে যায়। কিন্তু এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হেরোইনের চেয়েও ভয়াবহ। একসময় যা সর্দি ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহূত হতো কোনো কোনো দেশে।  ব্যবহার করা হতো ওজন কমানোর চিকিৎসায়ও।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ক্লান্তি দূর করতে ও সজাগ থাকতে সেনাদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিল মেথঅ্যামফিটামিন। পরব

একজন মাহাথির মোহাম্মদ ও আধুনিক মালয়েশিয়া

এশিয়ার অন্যতম সেরা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি এবং মুসলিম বিশ্বের বিবেক ডা. মাহাথির মোহাম্মদ ছিলেন তার দেশের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী। তিনি ১৯৮১ সালে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দল টানা পাঁচটি সংসদীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে এবং সরকার গঠন করে। তিনি এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ৩০ অক্টোবর, ২০০৩ -এ, তিনি স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। 92 বছর বয়সে, দীর্ঘ পনের বছরের অবসরের পর, প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের ব্যাপক দুর্নীতির কারণে মাহাথির মোহাম্মদ রাজনীতিতে ফিরে এসেছেন। ২০১৮ সালের ৯ মে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার একদিন পর ১০ মে  তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। জন্ম ডাঃ মাহাথির মোহাম্মদ ১৯২৫ সালের ১০ জুলাই মালয়েশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি শহর এ্যালোর সেটররে একটি নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার আগে যে তিনজন প্রধানমন্ত্রী মালয়েশিয়া শাসন করেছেন তারা সবাই সমাজের এলিট শ্রেনীর। তবে মাহাথির খুব সাধারণ ঘর থেকে এসেছেন। পিতামাতার ন

জিমেইল সুরক্ষিত রাখার উপায় । যেভাবে জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখবেন

Gmail হল বিনামূল্যের মেলিং পরিষেবা, Google-এর একটি অ্যাপ৷ এটি মেইলিং জগতে সবচেয়ে সুরক্ষিত, দ্রুততম এবং সর্বাধিক ব্যবহৃত অ্যাপ। এটি শুধুমাত্র মেল করার উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হয় না বরং অন্যান্য অ্যাকাউন্ট যেমন পেপাল, পেটিএম, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য নিবন্ধন এবং আরও অনেক কিছুর সাথে সংযোগ করতেও ব্যবহৃত হয়। কিন্তু আজ, অনেক কোম্পানি আপনাকে মেইল করে, যার মাধ্যমে তারা আপনার মেইল এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত জিনিস চেক করার অনুমতি পায়। শুধু কোম্পানিই নয় হ্যাকারও বাড়ছে। এই ১০টি উপায় অনুসরণ করে আপনার Gmail অ্যাকাউন্টকে নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখা আসলে সহজ। জিমেইল সুরক্ষিত রাখার উপায়। যেভাবে জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখবেন  সার্ভারের দিক থেকে খুব নিরাপদ হলেও একটি Gmail অ্যাকাউন্টের আসল নিরাপত্তা ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করে। আসুন জেনে নেই জিমেইল অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ গুগল অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা রক্ষার উপায়গুলো। ১৷  টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন আপনার জিমেইল আইডি সুরক্ষিত রাখার প্রথম ধাপ হল টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করা। যদি এই সিস্টেমটি চালু থাকে, এমনকি কেউ আপনার আইডি এবং পাসওয়ার্ড জানলেও, ডিফল্ট ডিভাইসের মাধ্যম

বুদ্ধিমান মানুষের ১০টি গুণ

বুদ্ধিমান মানুষের ১০টি গুণ 1.  বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা  সহানুভূতিশীল একজন বিশ্ববিখ্যাত সাইকোথেরাপিস্ট ক্রিস্টিন স্কট-হাডসন বলেছেন "মানসিক মূল্যায়নে উচ্চ ইজি এবং আইকিউ-এর মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে। আমরা জানি যে একজন ব্যক্তি সহানুভূতির বৈশিষ্ট্যের উপর যত বেশি স্কোর করে, কার্যকর মৌখিক বোঝার বৈশিষ্ট্যে ব্যক্তিগত স্কোর তত বেশি।" - সহানুভূতি মানসিক বুদ্ধিমত্তার একটি বড় অংশ। আপনি যখন সহানুভূতিশীল হন, তখন আপনার অন্যদের অনুভূতি সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি থাকে। বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সহানুভূতিশীল এবং আবেগ বুঝতে এবং কীভাবে তারা সম্পর্ককে প্রভাবিত করে তা বোঝার ক্ষেত্রে ভাল। আমরা আবেগপ্রবণ প্রাণী, এবং যা আমাদের কাজ করতে চালিত করে তা হল আমাদের আবেগ। বুদ্ধিমান লোকেরা অন্য ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে একটি পরিস্থিতি কল্পনা করার প্রবণতা রাখে এবং অন্যদের জন্য দুঃখিত হওয়ার চেয়ে বেশি কিছু করে। 2. তারা অভিযোজিত হয় বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা নমনীয় এবং বিভিন্ন পরিস্থিতিতে উন্নতি লাভ করে। স্মার্ট লোকেরা জানে যে ভবিষ্যত অনিশ্চিত এবং তারা অপ্রত্যাশিত জন্য প্রস্তুত। "কোন পরিকল্পনার চেয়ে একটি খারাপ পরিকল্পনা ভাল, এ

আপনার সন্তানদের শেখানোর জন্য ভাল আচার-আচরণ

আচরণ মানব জীবনের মুকুট স্বরূপ। সুন্দর আচরণ যেমন অন্যকে সম্মানিত করে ঠিক তেমনি সম্মানিত করে নিজেকেও। বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে ব্যবহার বংশের পরিচয়।  ঠিক তেমনি, আপনার সন্তানের সুন্দর আচরণ আপনার পারিবারিক অনুশাসন ও পারিবারিক শিক্ষার প্রতিফলনও বটে। তাই আপনার সন্তানের অন্যের প্রতি  সুন্দর আচরণ আপনার পারিবারিক শিক্ষার প্রতিফলন বটে। আচরণবিদদের মতে, একটি শিশুর মধ্যে ভালো আচরণ তার মানবতা, আত্মবিশ্বাস, সামাজিকতা এবং আরও অনেক বিস্ময়কর গুণাবলীর বিকাশ ঘটায়। তাই শিশুকে বড় হওয়ার সাথে সাথে তাকে ভালো আচরণ শেখানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নিবন্ধটি কিছু মৌলিক আচরণ সম্পর্কে যা শিশুদের বড় হওয়ার সাথে সাথে শেখানো উচিত। 1. 'দয়া করে' এবং 'ধন্যবাদ' শব্দগুলো বলার অভ্যাস করুন এটা হল আপনার সন্তানকে শেখানোর সর্বপ্রথম প্রাথমিক শিষ্টাচারগুলির মধ্যে একটি। কোনওকিছু চাওয়ার সময় ‘দয়া করে‘ বা ‘প্লিজ‘ বলার গুরুত্ব এবং কোনওকিছু প্রাপ্তির সময় ‘ধন্যবাদ‘ বলা শিশুদের মধ্যে প্রথম থেকেই অন্তর্ভূক্ত করা উচিত। সর্বদা সেটা বলানো প্র্যাকটিসের মধ্যে রাখুন, যাতে শেষ পর্যন্ত তা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয় ও আপনা থেকেই

চুল ঘন করার উপায়| চুল পড়া কমানোর সহজ উপায়

চুল পড়া একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। চুল পড়া এবং নতুন চুল গজানো স্বাভাবিক। প্রতিদিন এক থেকে দুইশত চুল উঠে যায়। কিন্তু কখনও কখনও চুল পড়ার হার অতিরিক্ত হলে তা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। সবার আগে জেনে নিন কেন চুল পড়ে। চুল পড়ার কারণ নানা কারণে চুল পড়া বাড়তে পারে। এটি বংশগতি, হরমোনের পরিবর্তন, চিকিৎসা পরিস্থিতি বা বার্ধক্যের একটি স্বাভাবিক অংশের ফলাফল হতে পারে। আবার রাত জাগা, অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা, প্রসব-পরবর্তী বা হঠাৎ মানসিক আঘাত, শরীরে কিছু খাদ্য উপাদানের ঘাটতি, খুশকি বা মাথার ত্বকের কোনো রোগ ইত্যাদি। হরমোনের সমস্যা, জ্বর বা সংক্রমণ, মাথায় উকুনের উপদ্রব, ক্যান্সার ও কেমোথেরাপির পর। বা চুলে অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহার করলেও অতিরিক্ত চুল পড়তে পারে। চুল ঘন করার উপায়| চুল পড়া কমানোর সহজ উপায়  পেঁয়াজের রস/ Onion juice ধারণা হল করা হয় পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার চুল গজাতে সাহায্য করে। একটি ছোট গবেষণায় এটি অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটাযুক্ত লোকেদের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে। দিনে দুবার তাদের মাথার ত্বকে পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা হয়েছিল আর বাকিদের কলের পানি ব্যবহার করা হয়েছিল। দুই সপ্তাহ পরে