Skip to main content

মোবাইল থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনার উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি কি মোবাইল থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনার সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে হ্যাঁ এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন মোবাইল থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনার সহজ উপায়। আমাদের ফোনে থাকা ছবি ও ভিডিও সমূহ অনেক প্রিয় স্মৃতি বহন করে আর সব থেকে খারাপ লাগে যখন প্রিয় স্মৃতিগুলো ভুলে ডিলিট হয়ে যায়। তাই এই পড়বে থেকে চলুন জেনে নেওয়া যাক মোবাইল থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনার সহজ উপায়।

মোবাইল থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনার উপায়

এই পর্ব থেকে আপনি জানতে পারবেন মোবাইল থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনার সহজ উপায় সম্পর্কে। ডিলিট হয়ে যাওয়া ছবি একাধিক মাধ্যমে ফিরে পাওয়া যেতে পারে। কোন ছবি ডিলিট হয়ে গেলে তা একেবারে হারিয়ে যাবে এমন ভাবার কোন প্রয়োজন নেই। এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নিন মোবাইল থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনার সহজ উপায়।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ মোবাইল থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনার সহজ উপায়

মোবাইল থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনার সহজ উপায় google photos এর মাধ্যমে

মোবাইল থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনার সহজ উপায় google photos এর মাধ্যমে আপনি আপনার হারিয়ে যাওয়া ছবি ফিরিয়ে আনতে পারবেন খুব সহজে। google photos হলো একটি গ্যালারি অ্যাপ যা বর্তমানে প্রত্যক এন্ড্রয়েড ফোনেই রয়েছে। এটি গ্যালারি থেকেও বেশি কিছু। একই সাথে এই অ্যাপটি ফটো এডিট করতে এবং ছবি ব্যাকআপ রাখতেও সাহায্য করে। গুগল ড্রাইভ এর সাথে পাওয়া ফ্রি স্টোরেজ ব্যবহার করে গুগল ফটোস এর মাধ্যমে ছবির ব্যাকআপ রাখা যায়। বর্তমানে এন্ড্রয়েড ফোন গুলোতে গুগল ফটো অ্যাপটি রয়েছে। ডিভাইসে থাকা প্রাইমারি জিমেইল অ্যাকাউন্ট দ্বারা উক্ত গুগল সার্ভিসের লগইন থাকে।

আরো পড়ুনঃ ১০টি প্রযুক্তিগত প্রবণতা যা আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যকে বদলে দেবে


আপনি যদি অটোমেটিক ব্যাকআপ অপশন বন্ধ করে না থাকেন তবে অটোমেটিক ফোনের ছবিসমূহ গুগল ফটো তে সেভ হয়ে থাকবে। তবে এই ব্যাকআপ অপশনটি শুধুমাত্র ওয়াইফাই কানেকশনে কাজ করবে। google ফটো অ্যাপ এর প্রবেশ করলেই উক্ত ইমেইলের ব্যাকআপ থাকা ছবিসমূহ সক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হবে। এভাবে আপনার প্রয়োজনীয় ছবিগুলো ইমেইলের মাধ্যমে ব্যাকআপ দিয়ে রাখতে পারবেন।

গুগল ড্রাইভ এর মাধ্যমে ডিলিট করা ছবি ফিরে আনার উপায়

আপনি যদি গুগল ড্রাইভ এর মাধ্যমে ডিলিট করা ছবি ফিরে আনার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। প্রত্যেকটি google বা gmail একাউন্টে ড্রাইভ ক্লাউড স্টোরেজ ফ্রিতে পাওয়া যায়। ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদে জমা রাখার জন্য সবচেয়ে সেরা ক্লাউড স্টোরেজ অপশন গুগল ড্রাইভ। যদি আগে থেকে গুগল ড্রাইভে আপনার সেরা ছবিগুলো আপলোড করে রাখেন সে ক্ষেত্রে উক্ত ছবি সমূহ ডিলিট হয়ে গেলেও খুব সহজেই সেই ছবিগুলো ফিরিয়ে আনতে পারবেন। তবে google ফটোস এর মত গুগল ড্রাইভে গ্যালারি আইটেম অটোমেটিক ব্যাকআপের কোন অপশন নেই।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুকের ২১টি ক্ষতিকর দিক জেনে নিই

তাই ডিলিট হওয়া ছবি গুগল ড্রাইভ থেকে রিকভার করতে চাইলে ব্যাকআপ নিয়ে রাখতে হবে। গুগল ড্রাইভ থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনা অনেক সহজ। গুগল ড্রাইভ অ্যাপে কিংবা ওয়েব ভার্সনে প্রবেশ করে ব্রাউজ করুন ও খুঁজে দেখুন ডিলেট করা ছবি ব্যাকআপে জমা আছে কি না। ডিলিট করা ছবি খুঁজে পেলে ডাউনলোড করে আপনার ডিভাইসে পুনরায় সেভ করে নেন।

ডিলিট করা ছবি ফিরে আনার অ্যাপ

আপনি যদি ডিলিট করা ছবি ফিরে আনার অ্যাপ ইন্সটল করতে চান তাহলে এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নিন ডিলিট করা ছবি ফিরে আনার অ্যাপ সম্পর্কে। প্রিয় পাঠক মোবাইলে ডিলিট করা ফটো আবার ফিরে আনার জন্য বাড়ির কভার করার জন্য আমরা দুটি অ্যাপস ব্যবহার করতে পারি।

  • DiskDigger

  • Restore Image (Super easy)

ডিলিট করা ছবি রিকভার করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা দুইটা অ্যাপই সম্পূর্ণ ফ্রি। গুগল প্লে স্টোর থেকে প্রত্যেকটি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। চলুন স্টেপ বাই স্টেপ দেখে নেওয়া যাক অ্যাপ গুলো ব্যবহার করার নিয়ম গুলো।

স্টেপ ১ঃ সর্বপ্রথম গুগল প্লে স্টোর থেকে DiskDigger অ্যাপ টি ডাউনলোড করতে হবে। মোবাইল থেকে অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড ও ইন্সটল করার পর আমরা এই অ্যাপ টি ব্যবহার করতে পারব।

স্টেপ ২ঃ এবার সরাসরি অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করতে হবে। ওপেন করার সাথে সাথে আপনার একটি পেজ দেখবেন যেখানে কিছু অপশন থাকবে। এখন আপনাকেও উপরে থাকা Start basic scan এর অপশনে ক্লিক করতে হবে। Start basic scan অপশনে ক্লিক করার পর আপনার মোবাইলের সিস্টেম ফোল্ডারগুলোতে চলে যাবে যেগুলোতে প্রত্যেকটি ডিলিট ফটো রয়েছে। কিন্তু এর আগে আপনাদের একটি নোটিফিকেশন দেখানো হবে যেখানে Dany or Allow অপশন থাকবে। আপনি সোজা Allow অপশনে ক্লিক করবেন। সাথে সাথে আপনি এক বছর পূর্বে যে ছবিগুলো ডিলিট করেছিলেন সেই ছবিগুলো আপনার সামনে চলে আসবে। যে ছবিগুলো আপনি ফিরে পেতে চান সেই ছবিগুলো মার্ক করে রিকভার করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ Windows11 এবং Windows10এর মধ্যে পার্থক্য কি?

একইভাবে আপনি Restore Image (Super easy) অ্যাপসের মাধ্যমে আপনার হারিয়ে যাওয়া ছবিগুলো ফিরিয়ে আনতে পারবেন। আশা করি এবার আপনি ডিলিট করা ছবি ফিরে আনার অ্যাপ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন।

হারানো অ্যান্ড্রয়েড ফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়

আপনি নিশ্চয়ই হারানো অ্যান্ড্রয়েড ফোন খুঁজে পাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন এই পর্ব থেকে জেনে নিন হারানো অ্যান্ড্রয়েড ফোন খুঁজে পাওয়ার উপায় সম্পর্কে। আই এম ই আই (IMEI) এর মাধ্যমে হারানো মোবাইল উদ্ধার করা যেতে পারে। আই এম ই আই হলো যেকোনো মোবাইল ফোনের পরিচয়দান কারী সংখ্যা। আই এম ই আই এমন একটি সংখ্যা যা একটি মোবাইলকে অন্য যে কোন মোবাইল থেকে নিশ্চিত ভাবে আলাদা করা যায়। যদি আপনার হারানো মোবাইল থেকে সকল তথ্য মুছে দেওয়া হয় এবং সিম ও যদি পরিবর্তন করা হয় তবু এই সংখ্যার মাধ্যমে মোবাইল খুজে বের করা সম্ভব। কারণ ওই মোবাইলটিতে যে সিমে ঢুকানো হোক না কেন সেই সিম যখন তার নিকটস্থ মোবাইল টাওয়ারের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে তখনই সেই সংযোগের মাধ্যমে মোবাইলের (আই এম ই আই) তথ্য সিম কোম্পানির কাছে চলে যাবে এবং (IMEI) নম্বরটি কে যদি আগে থেকে কালো তালিকাভুক্ত করে রাখা হয় তাহলে মোবাইলটির অবস্থান খুঁজে বের করা যাবে।(IMEI) নাম্বারকে কালো তালিকা মুক্ত করে মোবাইলটিকে ব্লক করে দেওয়া যেতে পারে। ফলে ওই মোবাইলের সাহায্যে আর কোন মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হওয়া যাবে না।

শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বা জেনে উপকৃত হয়েছেন মোবাইল থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনার সহজ উপায় সম্পর্কে। মোবাইল থেকে ডিলিট করা ছবি ফিরিয়ে আনার সহজ উপায় সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এ ধরনের পোস্ট আরো পেতে অবশ্যই আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।


Comments

Popular posts from this blog

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সমসাময়িক জীবনে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ - একটি অনিবার্য উপাদান, বিশেষ করে যারা ব্যস্ত জীবন যাপন করেন এবং তথ্য আপডেটের জন্য এটির উপর নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেরা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে এবং অসংখ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ অনলাইন ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি হল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা। একটি সমীক্ষা অনুসারে ২০২১ সালে প্রায় ৮২% আমেরিকানদের এক বা একাধিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি প্রোফাইল ছিল, যা আগের বছরের ব্যবহারের হার থেকে ২% বেশি। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২৩ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক কানেক্টিভিটি কানেক্টিভিটি সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। এটি যেকোনো সময়, সর্বত্র অগণিত ব্যবহারকারীকে লিঙ্ক করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, যা মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা সহজ...

কিওয়ার্ড কি, কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে ?

অনলাইন ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড (keyword) বিশাল একটা জিনিস কারন একটা সামান্য keyword আপনার জীবন কল্পনাহীন পরিবর্তন করে দিতে পারে যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে খুঁজে পান। সুতরাং সবাই চায় সঠিক এবং ভালো কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে । আমাদের, keyword নিয়ে বিস্তারিত যেমন – কিওয়ার্ড কি, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড স্টাফিং কি জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি সাথে জেনে নেওয়া দরকার কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোণগুলো। কিওয়ার্ড-keyword-কি-কত-প্রকার-কিওয়ার্ড-রিসার্চ-কিভাবে-করে সূচিপত্র 1 কিওয়ার্ড(keyword)কি 2 কিওয়ার্ড কত প্রকার(types of keywords) 2.1 ক. অভিপ্রায় ভিত্তিক প্রকার (Based On Keyword Intend ) – 2.1.1 ১. মার্কেটিং কিওয়ার্ড(marketing) 2.1.2 ২. ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড (brand) 2.1.3 ৩. লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (geo-targeting) 2.1.4 ৫. কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ড(competitor) 2.1.5 ৬. কাস্টমার বেসড কিওয়ার্ড (customer centric) 2.2 খ. কিওয়ার্ড দৈর্ঘ্য নির্ভর ভাগ (based on length) 2.2.1 ১. Short-tail keyword ...

প্রসেসর কি? প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটাকে CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে জানি। কম্পিউটারের এই অংশটি মূলত আমাদের কমান্ড প্রসেস করে এবং আউটপুট দেয়। প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ প্রসেসিং ইউনিট ছাড়া আমরা কম্পিউটারের কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে জানবো প্রসেসর কি, কিভাবে কাজ করে, এর গঠন কি এবং প্রসেসর কি কি। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের ব্লগ পোস্ট। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর আপনি প্রসেসর সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রসেসর কি? প্রসেসর হল আমাদের ফোন বা ল্যাপটপে এক ধরনের বিশেষ হার্ডওয়্যার যা আমাদের নির্দেশ বা ইনপুট গ্রহণ করে এবং আমাদের ডিসপ্লের সামনে আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করে। সহজ ভাষায় যিনি প্রসেস করেন তিনি প্রসেসর। অর্থাৎ, আমাদের নির্দেশগুলি প্রসেস করে ভিজ্যুয়াল আকারে আমাদের কাছে আনা হয়। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রসেসর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসর ছাড়া এই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস একেবারেই অচল। প্রসেসর হল এক প্রকার গাণিতিক ইঞ্জিন। কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূ...