প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটাকে CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে জানি। কম্পিউটারের এই অংশটি মূলত আমাদের কমান্ড প্রসেস করে এবং আউটপুট দেয়। প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ প্রসেসিং ইউনিট ছাড়া আমরা কম্পিউটারের কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না।
প্রসেসর কি?
কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রসেসর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসর ছাড়া এই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস একেবারেই অচল। প্রসেসর হল এক প্রকার গাণিতিক ইঞ্জিন। কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ মেশিন হিসেবে কাজ করতে পারে।
আমরা আমাদের কম্পিউটারের জন্য যে প্রসেসরগুলি কিনি সেগুলি ধাপে ধাপে বাজারে ছাড়া হয়। আমরা যদি সবচেয়ে বড় প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেলের কথা বলি, তাহলে দেখা যাবে বর্তমান বাজারে তাদের ১০ম প্রজন্মের প্রসেসর চলছে।
একটি প্রসেসরের কয়টি অংশ?
একটি CPU এর তিনটি প্রধান অংশ রয়েছে: অ্যারিথম্যাটিক লজিক ইউনিট (ALU), কন্ট্রোল ইউনিট (CU) এবং মেমরি ইউনিট।
অ্যারিথম্যাটিক লজিক ইউনিট (ALU)
ALU এর অর্থ হল গাণিতিক এবং যুক্তিবিদ্যা ইউনিট। এই ইউনিট গাণিতিক, যৌক্তিক, এবং সিদ্ধান্ত অপারেশনের কাজ করে সম্পাদন করে থাকে। এই ইউনিট দুটি প্রধান অংশ বা ফাংশন গ্রুপে বিভক্ত। গাণিতিক অংশ যোগ, বিয়োগ, গুণ এবং ভাগ সহ গাণিতিক ক্রিয়া সম্পন্ন করে। লজিক অংশটি ডেটা এবং তথ্যের তুলনা, নির্বাচন, ম্যাচিং এবং মার্জ করার কাজগুলি সম্পন্ন করে।
কন্ট্রোল ইউনিট(Control Unit)
কন্ট্রোল ইউনিট (সিইউ) পরিচালনার পরিচালক। এটি ইনপুট পড়া এবং ব্যাখ্যা করার কাজ করে থাকে. কন্ট্রোল ইউনিট প্রয়োজন অনুসারে ALU, মেমরি ইউনিট এবং অন্যান্য অবস্থানে ডেটা পাঠায়। এটি ডাটা সংরক্ষণ করার জন্য বাইনারিতে অনুবাদ করে এবং বিভিন্ন আউটপুট ডিভাইসে নির্দেশ পাঠায়। কন্ট্রোল ইউনিট সমস্ত ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইসের সমন্বয়কারী। এটি CPU এর অন্যান্য অংশে ডেটা এবং নির্দেশাবলী স্থানান্তর করে।
মেমরি ইউনিট(Storage Unit)
একটি কম্পিউটারে একটি মেমরি বা স্টোরেজ ইউনিট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা ডেটা, প্রোগ্রাম এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করে। দুটি প্রধান ধরনের মেমরি হল RAM এবং হার্ড ড্রাইভ। RAM এর পূর্ণরূপ হল Random Access Memory. এটি বেশিরভাগই কম্পিউটার চালু থাকাকালীন অস্থায়ীভাবে ডেটা সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
এটি স্থায়ীভাবে প্রচুর পরিমাণে ডেটা সংরক্ষণ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে, তাই আপনার ফাইলগুলি নিয়মিত ব্যাক আপ করা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ৷
CPU এর পুরো নাম কি?
CPU এর পুরো নাম Central Processing Unit.
প্রসেসর এর অপর নাম কি?
প্রসেসরের অপর নাম হলো “অণুপ্রক্রিয়াজাতকারক”।
প্রসেসর সকেট
সকেটের মাধ্যমে সিপিইউ মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত থাকে। কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সিপিইউর সকেট মাদার বোর্ডের সকেটের সাথে মেলে কিনা। উদাহরণস্বরূপ- আপনি যদি LGA 1366 সকেট সহ Intel Core i7 920 কিনতে চান তবে আপনার PC মাদারবোর্ডেও LGA 1366 সকেট থাকা উচিত।
হাইপার থ্রেডিং কি?
হাইপার থ্রেডিং হল ইন্টেলের একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার যা একটি একক কোরকে দুটি কোরের মতো একই কাজ সম্পাদন করার ক্ষমতা দেয়। AMD এর প্রসেসর A কে হাইপার ট্রান্সপোর্ট বলা হয়। এই প্রযুক্তির কারণে, একসাথে অনেকগুলি কাজ সম্পাদন করলেও সিস্টেমটি ধীর হয় না। হাইপার থ্রেডিং/ট্রান্সপোর্ট সাপোর্টেড প্রসেসরগুলি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক ভালো।
প্রসেসরে কোর কি?
প্রসেসর কেনার সময় একটা কমন জিনিস দেখা যায় যে কোন কোন প্রসেসর কোর আই ফাইভ, কোন কোন প্রসেসর কোর আই থ্রি, কোন কোন প্রসেসর কোর আই সেভেন বা এইট ওয়ান নাইন দেখা যায়। এখন অনেকেই ভাবছেন এই কোর জিনিসটা আসলে কী।
কোর আসলে অনেকটা গাড়ির চাকার মতো, একটি গাড়িতে যত বেশি চাকা, গাড়িটি তত বড় এবং শক্তিশালী। অর্থাৎ এটি আরও বেশি লোক ও যাত্রী বহন করতে পারে। একইভাবে, যখন একটি প্রসেসরে বেশি সংখ্যক কোর থাকে, তখন এর অর্থ হল প্রসেসরটি আরও শক্তিশালী।
অর্থাৎ Core i7 প্রসেসরটি Core i5 এর তুলনায় অনেক দ্রুত এবং একই সময়ে বেশি লোড বহন করতে সক্ষম হবে।
প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?
একটি প্রসেসরের কিছু বিশেষ যন্ত্রাংশ থাকে যার উপর নির্ভর করে এটি কাজ করে। আমরা এখন সেই যন্ত্রাংশগুলো সম্পর্কে জানব যাতে ভবিষ্যতে প্রসেসর কেনার সময় সিদ্ধান্তগ্রহণে কোনো সমস্যা না হয়। কারণ একটি প্রসেসরের পারফরম্যান্স নির্ভর করে সেই যন্ত্রাংশগুলোর ফিচার এবং ক্যাপাবিলিটির ওপর।
CLOCK SPEED – ক্লক স্পিডঃ
সাধারণত ক্লক স্পিড কে কম্পিউটারে হিসাব করা হয় গিগাহার্জ হিসেবে। আপনার প্রসেসর কত গিগাহার্জের সেটা আপনি আপনার কম্পিউটারের বিভিন্ন সেটিংসের মধ্যে দেখতে পাবেন।এটি মূলত নির্দেশ করে যে আপনার প্রসেসর কত দ্রুত কাজ করতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই, আপনি যত বেশি গিগাহার্টজ কিনবেন, কম্পিউটার তত দ্রুত চলবে।
NUMBER OF CORES
কোরের সংখ্যা সম্পর্কে আমরা আগেই উল্লেখ করেছি, ইন্টেলের কোর আই সিরিজের প্রসেসরে কোরের সংখ্যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোরের সংখ্যা যত বেশি, প্রসেসর তত বেশি শক্তিশালী।
CACHE MEMORY
সাধারণত, একটি কম্পিউটারের সবচেয়ে বড় মেমোরি হল হার্ডডিস্ক এবং RAM। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় এই দুটি স্টোরেজের বাইরে একটি মেমোরি ব্যবহার করে কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হয়। যেখানে দ্রুত কাজ সম্পাদনের জন্য কিছু ডেটা সংরক্ষণ করা হয়। সেই মেমোরিকে ক্যাশে মেমোরি বলা হয়।
আপনার প্রসেসরের আকার এবং প্রকারের উপর নির্ভর করে, ক্যাশে মেমোরি ২, ৪, ৬, কিংবা ৮ MB পর্যন্ত হতে পারে। অনেকের মনে হতে পারে এত ছোট মেমোরি কাজে লাগবে? আসলে এই মেমোরি বিভিন্ন প্রোগ্রাম চালানোর জন্য অস্থায়ী সাপোর্টিং হিসাবে কাজ করে।
FSB – এফ এস বি
এফএসবি বা ফ্রন্ট সাইড বাস এমন একটি ফিচার যার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি প্রসেসরটি র্যামের সাথে কত দ্রুত কাজ করতে পারে। এটি যত বেশি হবে, আপনার কম্পিউটার তত দ্রুত হবে। যাইহোক, আজকের কম্পিউটার FSB এর পরিবর্তে QPi ব্যবহার করে। কিন্তু দুটোর কাজ প্রায় একই।
প্রসেসরের প্রকারভেদ
সাধারণ ব্যবহারের জন্য পাঁচ ধরনের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়, সেগুলো হলো-
- মাইক্রোকন্ট্রোলার
- মাইক্রো-প্রসেসর
- এমবেডেড প্রসেসর
- ডিএসপি প্রসেসর এবং
- মিডিয়া প্রসেসর।
ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম কি?
ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম বা সফ্টওয়্যার হল এক ধরনের উন্নত টাইপিং প্রোগ্রাম যা একজন ব্যবহারকারীকে তথ্য রেকর্ড ও বিভিন্ন ধরনের কাজ করার এক্সেস দিয়ে থাকে। বছরের পর বছর ধরে বিকশিত এবং প্রসারিত হওয়ার পরে ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রামগুলি এখন রেকর্ড করা তথ্য তৈরি, সম্পাদনা, প্রুফরিডিং, ফর্ম্যাটিং এবং মুদ্রণের মতো কাজগুলোকে সাপোর্ট করে। সাধারণত এটি ডিফল্টরূপে পাঠ্য হবে, তবে আরও আধুনিক সফ্টওয়্যার সংস্করণে অন্যান্য উপাদান অন্তর্ভুক্ত করতে পারে যা চিত্র, গ্রাফিক্স ইত্যাদির মতো অত্যাধুনিক বিষয়গুলিকে সমর্থন করে।
ওয়ার্ড প্রসেসিং কিভাবে চালু করতে হয়
ওয়ার্ড প্রসেসিং কী
ওয়ার্ড প্রসেসর এর বৈশিষ্ট্য
প্রসেসর কোর (core) কি
প্রসেসর CORE কত প্রকার
- Dual core (ডুয়াল কোর) মানে 2 core
- Quad core (কোয়াড কোর ) মানে 4 core
- Hexa core (হেক্সা কোর )মানে 6 core
- Octa core (অক্টা কোর) মানে 8 core
- Deca core (ডেকা কোর) মানে 10 core
Computer প্রসেসর কত প্রকার ও প্রসেসরের নাম
মোবাইল প্রসেসর কত প্রকার ও প্রসেসরের নাম
ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যারের তালিকা
- Microsoft Word -মাইক্রোসফট ওয়ার্ড (সর্বশেষ সংস্করণ ২০১৩)
- WordPad - ওয়ার্ডপ্যাড,
- Google Doc -গুগল ডক,
- WPS Office - WPS অফিস,
- Lotus word pro -লোটাস ওয়ার্ড প্রো,
- Notepad -নোটপ্যাড,
- WordPerfect -ওয়ার্ড পারফেক্ট (Windows only),
- AppleWorks -আপেল ওয়ার্ক (Mac only),
- Work pages - ওয়ার্ক পেজ,
- OpenOffice Writer -ওপেন অফিস রাইটার।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ওয়ার্ড প্রসেসর এর সুবিধা
- সঠিক ও নির্ভুলভাবে লেখার জন্য ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করা যায় এবং কোনো ভুল থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে সংশোধনের সুযোগ থাকে। বিষয়বস্তু সম্পাদনা করার সুযোগ থাকায় লেখাটি নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করা যায়।
- নানাভাবে লেখাকে উপস্থাপন করা যায়। যেমন- লেখার আকার ছোট-বড় করা, রঙিন করা, বক্স আকারে উপস্থাপন করা ইত্যাদি।
- সম্পূর্ণ পাঠ্য শুরু না করেই নতুন পাঠ্য সন্নিবেশ করানো, পাঠ্য মুছে ফেলা বা পাঠ পুনর্বিন্যাস করার সুযোগ রয়েছে।
- ছবি, গ্রাফ, টেবিল, চার্ট ইত্যাদি যোগ করে ডকুমেন্টকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।
- ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করে তা যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়। ফলে একই কাজ বারবার করার প্রয়োজন হয় না।
- প্রয়োজনে দরকারী তথ্য এক নথি থেকে অন্য নথিতে অনুলিপি করা যেতে পারে।
- একই সময়ে একাধিক নথি নিয়ে কাজ কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
- Find-replace কমান্ড ব্যবহার করে বড় কোনো নথিতে অল্প সময়ে শব্দ খোঁজা যায় এবং প্রতিস্থাপন করা যায়।
- বড় আকারের ডকুমেন্ট যেমন গবেষণপত্রে বিষয়বস্তুর সারণি, রেফারেন্স, ছবির তালিকা, গ্রন্থপঞ্জি ইত্যাদি অনেক কাজে খুবই স্বল্প সময়ে সম্পাদন করা যায়।
- বানান দেখার সফটওয়্যার বা স্পেল চেকার-এর সাহায্যে সহজেই বানান সংশোধন করা; স্বয়ংক্রিয়ভাবে বানান সংশোধনের ব্যবস্থা ও ওয়ার্ড প্রসেসরে রয়েছে।
- ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করে তা যেকোনো সময়, যতবার ইচ্ছা ততবার প্রিন্ট করার সুবিধা রয়েছে।
- কাগজের নথি বা ফাইলের পরিবর্তে ওয়ার্ড প্রসেসরে তৈরি ফাইল খুব সহজেই সংরক্ষন করা যায়।
- সহজ ফাইল ব্যবস্থাপনা যা আধুনিক অফিস ব্যবস্থাপনায় অপরিহার্য।
Comments
Post a Comment