Skip to main content

কম্পিউটারে কিভাবে এন্ড্রয়েড অ্যাপ ইন্সটল করব? | How to install Android app on a computer?

অধিকাংশ কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহারকারী কম্পিউটার বা ল্যাপটপে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস কীভাবে ইনস্টল করবেন তা জানতে চান।

আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে এই প্রশ্নের সঠিক সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কিভাবে এন্ড্রয়েড অ্যাপ ইন্সটল করব? আজকাল সবার পকেটেই একটি বা একাধিক অ্যানড্রয়েড ফোন রয়েছে। আর অ্যানড্রয়েড প্লে স্টোরে রয়েছে কয়েক লক্ষ অ্যাপ। প্রতিদিন আমরা সেই অ্যাপগুলি ব্যবহার করে থাকি। এই সব অ্যানড্রয়েড অ্যাপ কম্পিউটারে চালানোর স্বপ্ন দেখেন অনেক গ্রাহক। কিন্তু কম্পিউটারে আলাদা অপারেটিং সিস্টেম চলার কারণে অ্যানড্রয়েড অ্যাপ চালানো সম্ভব হয়ে ওঠে না।  তবে কম্পিউটারে অ্যানড্রয়েড অ্যাপ চালানো অসম্ভব কোন কাজ নয়। Chrome ব্রাউজারে 'App Runtime for Chrome (ARC) project’ এর মাধ্যমে যে কোন ডেস্কটপ কম্পিউটারে অ্যানড্রয়েড অ্যাপ চালানোও যাবে। শুরুতে শুধুমাত্র ডেভেলপারদের জন্য সীমিত থাকলেও এখন যে কেউ এই অ্যাপ ডাউনলোড করে কম্পিউটারে অ্যানড্রয়েড অ্যাপ চালাতে পারবেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক কীভাবে Chrome ব্রাউজারে অ্যানড্রয়েড অ্যাপ চালাবেন।

কেন কম্পিউটারে এন্ড্রয়েড অ্যাপস ব্যবহার করবেন?

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ হল গুগলের মালিকানাধীন বিশ্বের বৃহত্তম ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম যে অপারেটিং সিস্টেম গুলো সারা বিশ্বের সকল স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে।

তবে অ্যাপল ফোনে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয় না। অ্যাপল কোম্পানির আলাদা অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে।

এই অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য জনপ্রিয় ফ্রি অ্যাপ এবং গেম। যা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করছে।

এই অ্যান্ড্রয়েড কে বানিয়েছে জানেন? 2003 সালে রুবিন নামে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড্রয়েড তৈরি করেন।

তারপর 2005 সালে গুগল এই অ্যান্ড্রয়েডটি কিনে নেয়। পরবর্তীতে 2009 সালে গুগল অ্যান্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে প্রকাশ করে। তখন থেকেই অ্যান্ড্রয়েডের যাত্রা শুরু।

আর এটাই এখন  পর্যন্ত বিশ্বের সব থেকে বড় অপারেটিং সিস্টেম। এখানে রয়েছে অসংখ্য এন্ড্রয়েড অ্যাপস, গেমস যা কম্পিউটারে অর্থাৎ উইন্ডোজে ব্যবহার করা যায় না।

তাছাড়া কম্পিউটারে উইন্ডোজে যেসব অ্যাপ বা গেম পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই পেইড। অর্থাৎ টাকা দিয়ে কিনে তারপর ব্যবহার করতে হয়।

যা আমাদের মত অনেক ব্যবহারকারীর পক্ষে টাকা দিয়ে কিনে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তাছাড়া অ্যান্ড্রয়েডের মতো উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম নেই।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর ব্যবহারযোগ্যতা। যে কেউ খুব সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারেন।

আপনি যদি কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস বা গেমস ব্যবহার করতে চান, তাহলে তার জন্য অসংখ্য এমুলেটর রয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল bluestacks।

এই ব্লুস্ট্যাকের মাধ্যমে আপনি আপনার কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বা গেম ব্যবহার করতে পারবেন।

কম্পিউটারে Bluestacks ইনস্টল করার জন্য কোন সিস্টেমের প্রয়োজন?

আপনার কম্পিউটারে bluestacks এমুলেটর চালানোর জন্য আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত সিস্টেম নিচে আলোচনা করা হয়েছে। কষ্ট করে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন 

  • কম্পিউটারে এই এমুলেটরগুলি ব্যবহার করার জন্য অ্যান্টিভাইরাস থাকা ভাল। এর জন্য আপনি Avast Antivirus, AVG Antivirus ব্যবহার করতে পারেন।

  • আপনি যদি আপনার কম্পিউটারে উইন্ডোজ 7, উইন্ডোজ 8 এবং উইন্ডোজ 10 ইনস্টল করে থাকেন তবে এটি আরও ভাল।

  • কম্পিউটারে কমপক্ষে 2GB RAM থাকতে হবে। তবে 4 জিবি র‌্যাম হলে আরো ভালো হয়। ভাববেন না যে বেশি RAM আপনার কম্পিউটারকে ধীর করে দেবে। বরং যত বেশি RAM হবে আপনার কম্পিউটার তত দ্রুত হবে।

  • আপনার কম্পিউটারের প্রসেসর অবশ্যই ডুয়েল কোর হতে হবে।

  • DirectX 11 সাপোর্ট করে এমন একটি গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করুন। এই গ্রাফিক্স কার্ডগুলি Intel, AMD, Nvidia ইত্যাদি হতে পারে।

  •  আপনার কম্পিউটারের স্ক্রীন বা মনিটরের রেজুলেশন অবশ্যই ১০২৪ x ৭৬৮ এর বেশি হতে হবে।

আপনার কম্পিউটারে উপরের সমস্ত সিস্টেমগুলি যথাযথভাবে থাকলে আপনি বিভিন্ন এমুলেটর ব্যবহার করে আপনার কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ইনস্টল করতে পারবেন।

কম্পিউটারে কিভাবে এন্ড্রয়েড অ্যাপ ইন্সটল করব?

উপরে উল্লিখিত সমস্ত শর্ত আপনার কম্পিউটারে উপস্থিত থাকলে আপনি মনে করবেন আপনার কম্পিউটার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপগুলি ব্যবহার করার জন্য 100% প্রস্তুত।

  • এখন কম্পিউটার থেকে যেকোনো ব্রাউজার খুলুন এবং bluestacks ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।


  • এখন উপরের তীর চিহ্ন দিয়ে যে অপশনটি দেখছেন সেটি ডাউনলোড করুন। ব্লুস্ট্যাক্স সেটআপ নামে একটি 1.02+এমবি মাইক্রোইনস্টলার আপনার কম্পিউটারে ডাউনলোড  হবে।

  • আপনি এটিতে ডাবল ক্লিক করে অথবা run as administrator এর মাধ্যমে এটি  ইনস্টল করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন এর জন্য আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।

  • ইনস্টল শুরু হওয়ার সাথে সাথে আপনার কাছে কিছু পারমিশন চাওয়া হবে। আপনি সকল পারমিশন গুলোতে Yes দিয়ে দিবেন।

  • BlueStacks সেটআপ শুরু করার পরে প্রথমে 100 MB এর বেশি ডাউনলোড করুন এবং পরে 400 MB এর বেশি ডাউনলোড করুন। এটি ডাউনলোড করার জন্য অপেক্ষা করুন।

  • ডাউনলোড সম্পূর্ণ হওয়ার পরে, আপনি আপনার কম্পিউটারের স্ক্রিনে BlueStacks 5, BlueStacks X, BlueStacks 5 মাল্টি-ইনস্ট্যান্স ম্যানেজার নামে ৩টি অ্যাপ্লিকেশন দেখতে পাবেন।

  • এখন সেখান থেকে BlueStacks 5 অ্যাপ্লিকেশনটি খুলুন। এই অপশনটি ওপেন করার পর আপনি কম্পিউটারে গুগল প্লে স্টোর দেখতে পাবেন।

  • এখন আপনি গুগল প্লে স্টোরে প্রবেশ করুন। তারপর আপনার জিমেইল একাউন্ট এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন

  • আপনার কাজ সম্পূর্ণরূপে শেষ. এখন আপনি আপনার কম্পিউটারে Google Play Store থেকে আপনার পছন্দের সব Android apps ডাউনলোড করতে পারবেন।

খেয়াল করে দেখবেন এমুলেটরের মাধ্যমে কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহার করলে কম্পিউটারের গতি কিছুটা কমে যেতে পারে।

আশা করি, কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কিভাবে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয় তা আপনি সহজেই বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা - কম্পিউটারে কিভাবে এন্ড্রয়েড অ্যাপ ইন্সটল করব

আজকের আলোচনায় আমরা জানলাম কিভাবে কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ইন্সটল করতে হয়। কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ডাউনলোড করার বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে অনুগ্রহ করে কমেন্ট করুন এবং ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

Comments

Popular posts from this blog

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সমসাময়িক জীবনে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ - একটি অনিবার্য উপাদান, বিশেষ করে যারা ব্যস্ত জীবন যাপন করেন এবং তথ্য আপডেটের জন্য এটির উপর নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেরা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে এবং অসংখ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ অনলাইন ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি হল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা। একটি সমীক্ষা অনুসারে ২০২১ সালে প্রায় ৮২% আমেরিকানদের এক বা একাধিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি প্রোফাইল ছিল, যা আগের বছরের ব্যবহারের হার থেকে ২% বেশি। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২৩ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক কানেক্টিভিটি কানেক্টিভিটি সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। এটি যেকোনো সময়, সর্বত্র অগণিত ব্যবহারকারীকে লিঙ্ক করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, যা মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা সহজ

কিওয়ার্ড কি, কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে ?

অনলাইন ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড (keyword) বিশাল একটা জিনিস কারন একটা সামান্য keyword আপনার জীবন কল্পনাহীন পরিবর্তন করে দিতে পারে যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে খুঁজে পান। সুতরাং সবাই চায় সঠিক এবং ভালো কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে । আমাদের, keyword নিয়ে বিস্তারিত যেমন – কিওয়ার্ড কি, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড স্টাফিং কি জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি সাথে জেনে নেওয়া দরকার কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোণগুলো। কিওয়ার্ড-keyword-কি-কত-প্রকার-কিওয়ার্ড-রিসার্চ-কিভাবে-করে সূচিপত্র 1 কিওয়ার্ড(keyword)কি 2 কিওয়ার্ড কত প্রকার(types of keywords) 2.1 ক. অভিপ্রায় ভিত্তিক প্রকার (Based On Keyword Intend ) – 2.1.1 ১. মার্কেটিং কিওয়ার্ড(marketing) 2.1.2 ২. ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড (brand) 2.1.3 ৩. লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (geo-targeting) 2.1.4 ৫. কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ড(competitor) 2.1.5 ৬. কাস্টমার বেসড কিওয়ার্ড (customer centric) 2.2 খ. কিওয়ার্ড দৈর্ঘ্য নির্ভর ভাগ (based on length) 2.2.1 ১. Short-tail keyword

প্রসেসর কি? প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটাকে CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে জানি। কম্পিউটারের এই অংশটি মূলত আমাদের কমান্ড প্রসেস করে এবং আউটপুট দেয়। প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ প্রসেসিং ইউনিট ছাড়া আমরা কম্পিউটারের কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে জানবো প্রসেসর কি, কিভাবে কাজ করে, এর গঠন কি এবং প্রসেসর কি কি। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের ব্লগ পোস্ট। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর আপনি প্রসেসর সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রসেসর কি? প্রসেসর হল আমাদের ফোন বা ল্যাপটপে এক ধরনের বিশেষ হার্ডওয়্যার যা আমাদের নির্দেশ বা ইনপুট গ্রহণ করে এবং আমাদের ডিসপ্লের সামনে আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করে। সহজ ভাষায় যিনি প্রসেস করেন তিনি প্রসেসর। অর্থাৎ, আমাদের নির্দেশগুলি প্রসেস করে ভিজ্যুয়াল আকারে আমাদের কাছে আনা হয়। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রসেসর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসর ছাড়া এই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস একেবারেই অচল। প্রসেসর হল এক প্রকার গাণিতিক ইঞ্জিন। কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূ