1. 'দয়া করে' এবং 'ধন্যবাদ' শব্দগুলো বলার অভ্যাস করুন
এটা হল আপনার সন্তানকে শেখানোর সর্বপ্রথম প্রাথমিক শিষ্টাচারগুলির মধ্যে একটি। কোনওকিছু চাওয়ার সময় ‘দয়া করে‘ বা ‘প্লিজ‘ বলার গুরুত্ব এবং কোনওকিছু প্রাপ্তির সময় ‘ধন্যবাদ‘ বলা শিশুদের মধ্যে প্রথম থেকেই অন্তর্ভূক্ত করা উচিত। সর্বদা সেটা বলানো প্র্যাকটিসের মধ্যে রাখুন, যাতে শেষ পর্যন্ত তা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয় ও আপনা থেকেই মুখ ফুটে বেরিয়ে আসে উদ্দিষ্ট পরিপ্রেক্ষিতে।
2. কিছু দেওয়া বা নেওয়ার আগে অনুমতি নেওয়া
তাদের নিজেদের নয় এমন কোনও জিনিসে, এমনকি তার মা–বাবার জিনিসেও হাত দেওয়ার আগে অবশ্যই তাদের অনুমতি নিতে শেখানো উচিত। যথাযথ ধন্যবাদের সাথে তাদের ধার নেওয়া জিনিসটি যথাযোগ্য স্থানে যথাযোগ্যভাবে ফেরত দেওয়াতে শেখানোটাও জরুরি।
3. Sorry বা ‘দুঃখিত‘ বলতে শেখানো
দয়া করে’ এবং ‘ধন্যবাদ’ এর পাশাপাশি, কোনও ভুল করলে তখন ‘দুঃখিত‘ বলতে শেখানোটাও আপনার সন্তানের ভিতরে প্রবেশ করানো গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি। আপনার শিশুকে শেখান কখন এবং কোথায় দুঃখিত বলতে হয় এবং যখনতখন সেটা ব্যবহার না করতে। সহানুভূতি হল এমন একটি গুণ যা তাদের মধ্যে আত্মস্থ করা উচিত।
4. ঘরে প্রবেশের আগে দরজায় ঠক্ঠক্ করা
শিশুদের শেখানো উচিত যে প্রাইভেসি হল সর্বজনীন, বিশেষ করে বাড়িতে। তাদের জানা উচিত যে কারও বাড়িতে প্রবেশের আগে দরজায় কড়া নাড়ানো এবং অনুমতি চাওয়া সম্মানজনক। শুরু থেকেই আপনার বাচ্চাদের সামনে এটি করা তাদের একটি ভাল অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
5. হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা
আপনার সন্তানদের শেখান যে হাঁচা বা কাশার সময় তাদের মুখ চাপা দিতে।তাছাড়াও তাদের এটিও শেখান যে প্রকাশ্যে বা কারো সামনে নাকে হাত দেওয়া বা খোঁটা অশোভনীয় এবং অপ্রীতিকর হিসেবে বিবেচিত। এটি মেনে চলা কেবল একটি ভাল অভ্যাসই নয় বরং এটি ভাল স্বাস্থ্যবিধির একটি অংশ।
6.’এক্সকিউজ মি‘ বলতে শেখান
শিশুদের শেখার এটি আরেকটি প্রাথমিক কৌশল।বাচ্চারা এমনিতেই একটু অধৈর্য হয়, সুতরাং কথা বলার আগে অনুমতি নেওয়ার জন্য তাদের ‘এক্সকিউজ মি‘ বলতে শেখাতে হবে। তাদের বলা উচিত এবং শেখানো উচিত কখন এবং কীভাবে অন্যের কথোপকথনে কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি না করে প্রবেশ করতে হয়।
7. মানুষকে ঠাট্টা না করা বা কাউকে উপহাসের বিষয় না করা
এটা খুব শীঘ্রই তাদের শেখানো উচিত, আর যদি তা না করা হয়, শিশুরা ভাবতে পারে যে মানুষকে নিয়ে মজা করাটা ঠিক আছে–সেটা এমন কিছু নয়। তাদের শেখানো খুব গুরুত্বপূর্ণ যে প্রকাশ্যে বা ব্যক্তিগতভাবে কারও অনুভূতি নিয়ে মজা করা কখনই ঠিক নয়।
8. ফোনে কথা বলার শিষ্টাচার
আপনার সন্তানকে ফোনে কীভাবে কথা বলতে হয় তা জানতে হবে এবং এটাও বুঝতে হবে যে ফোনের অপর প্রান্তে যখন অন্য ব্যক্তি কথা বলছে তখন শান্তভাবে শোনা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যক্তির উপর একটি ভাল প্রভাব ফেলবে।
9. বয়স্কদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা
প্রবীণরা অত্যন্ত জ্ঞানী কারণ তারা দীর্ঘকাল ধরে এই পৃথিবীতে বসবাস করেছেন এবং শিশুদের উচিত তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং তাদের কাছ সেই অর্জিত জ্ঞান দিয়ে তাদের সম্মান করা। তাদের পিতা-মাতা, দাদা-দাদি, শিক্ষক এবং যে কোনো বড়দের সম্মান করা উচিত।তাদের মা–বাবা, ঠাকুমা–ঠাকুরদা, শিক্ষক–শিক্ষিকা এবং যেকোনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি সম্মান জানানো উচিত। এটি করার একটি উপায় হল ছোটদের আগে বয়স্কদের খাবার পরিবেশন করা বা পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যখন কোনও বয়স্ক ব্যক্তিকে দেখা যায় তখন নিজের আসনটি তাদের ছেড়ে দেওয়া, যা আপনার শিশু লক্ষ্য করবে এবং জানবে যে বয়স্কদের প্রতি সম্মান দেখানো ছোটদের একটি নৈতিক দায়িত্ব।
10. মানুষের নাম জানা এবং মনে রাখা
কারও নাম পুনরাবৃত্তি করা এবং মনে রাখা দেখায় যে আপনি তাদের চিনতে এবং মনে রাখার চেষ্টা করেন। আপনার সন্তানকে এমন পরিবারের সদস্য বা বন্ধুর নাম মনে রাখতে শেখান যিনি আপনার সন্তানের সাথে যোগাযোগ করেন এবং যত্ন করেন।
11. মানুষের দিকে আঙ্গুল তুলে কথা না বলা
আপনার সন্তানকে শেখান কোনও ব্যক্তির দিকে আঙ্গুল তুলে বা ঈশারা করে কথা বলাটা হল অভদ্রতার পরিচয়। তাদের বলুন যে তারা যদি কারও দিকে আঙ্গুল তুলে ইঙ্গিত করে তবে তিনটি আঙ্গুল সর্বদা তাদের নিজের দিকেও ফিরে আসে।অন্যান্য মানুষের আবেগের স্থানগুলি সম্পর্কে সচেতন করে তোলার জন্য আপনি তাদের এটিকে প্রথম থেকেই শেখাতে শুরু করতে পারেন তাদের দিকেও আঙ্গুল তুলে বা ঈশারা করার মাধ্যমে। তারপর তাদের জিজ্ঞাসা করুন তাদের দিকে এভাবে আঙ্গুল তুলে বা তাদের দিকে ঈশারা করে কোনও কথা বললে তারা কীরকম বোধ করে। এরকম প্রশ্ন তাদের এই ব্যাপাটি ভাবিয়ে তোলার জন্য একটা সঠিক পদক্ষেপ হয়ে উঠতে পারে।
12. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি সদয় হয়ে ওঠা
শিশুরা স্বাভাবিকভাবেই সবকিছুর প্রতি একটু বেশি কৌতূহলী হয়, তাই তারা যদি কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে দেখতে পায়, তাহলে তারা তাদের দিকে ইশারা করতে পারে বা তাদের দিকে ইশারা করতে পারে এবং তাদের উচ্চস্বরে প্রশ্ন করতে পারে বা এমনকি তাদের দেখে ভয় পেতে পারে। তাদের জানতে দিন. আমাদের পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যাদের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে কিন্তু তারা অন্য পাঁচ জনের মতো, তাই তাদের সাথে কোনো পার্থক্য না করে স্বাভাবিক আচরণ করা উচিত।
13. একজন ভাল অভ্যাগত হয়ে ওঠা
বাচ্চাদের শেখান যে যখন তারা তাদের বন্ধুদের বাড়িতে যাবে তখন যেন তারা সেখানে শান্ত, ভদ্র এবং নম্র হয়ে থাকে।তাদের জানা দরকার অন্য পরিবারের শিডিউলের সাথে কীভাবে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া যায়, পরিবেশিত খাবারের ওপর তারা যেন কোনও খুঁতখুঁতে, একগুঁয়ে ভাব না দেখায় এবং তাদের পছন্দের জিনিসগুলি জানানোর জন্য যেন কোনও কিন্তু কিন্তু ভাব না করে।বন্ধুদের বাড়িতে গিয়ে আপ্যায়ণকারীকে যথাযথ শুভেচ্ছা জানানোটাও তাদের শেখানো উচিত।
14. ঠিকভাবে কথোপকথন করা
বাচ্চাদের শেখা উচিত যে চেঁচিয়ে, চিৎকার করে এবং অট্টহাসির সাথে জোরে জোরে কথা বলাটা যোগাযোগের কোনও সঠিক প্রক্রিয়া নয়।কতটা উত্তেজিত বা ক্রুদ্ধ তারা সেটা কোনও বিষয় নয়, তাদের নমনীয়তার সাথে কোমলভাবে কথা বলা এবং সেই লক্ষ্যে স্থির থাকা উচিত। আপনি এটি আপনার বাচ্চাদের শেখাতে পারেন তাদের সামনে এই একই কাজ করে। এছাড়াও তাদের জানান যে অন্যজনের কথা বলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকতে ও অপেক্ষা করতে হয় যতক্ষন না তাদের বলার সময় আসে।এটা আপনার সন্তানদের আপনার কথাও শোনার ক্ষেত্রে ধৈর্যশীল করে তুলবে।
15. দয়াপরবশ এবং সহানুভূতিশীল হয়ে উঠতে শেখান
দয়াপরবশ এবং সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠাটা বাচ্চাদের একটা অভ্যাস হয়ে ওঠা উচিত। এটাতে তারা নিজেরাও একটা ভাল বোধ করবে এবং অন্যেরাও তাদের পছন্দ করবে। আপনি তাদের এমন কারো জন্য দরজা খুলতে শেখাতে পারেন যার হাত আটকে যায় যখন তারা রুমে প্রবেশ করে এবং হাতল টানতে পারে, অথবা বাবা-মা এবং শিক্ষকদের কাজে সাহায্য করতে পারে।
16. সকলের সাথে ভাগ করে নিতে শেখান
বাচ্চারা যখন একে অপরের সাথে খেলে তখন এই অভ্যাসটা তাদের মধ্যে গড়ে তোলা খুবই জরুরি।তাদের শেখান যে তাদের খেলনা এবং খাবারগুলি অপরের সাথে ভাগ করে নেওয়ার অর্থ হল তার প্রতি যত্নশীলও হয়ে ওঠা। আপনি এই কৌশলটা তাদের শেখানো শুরু করতে পারেন খেলার ছলে, যেমন– যখন আপনি তাদের সাথে খেলায় মেতে থাকবেন তখন তাদের সাথে একইভাবে খেলার সামগ্রীগুলি ভাগ করে নিন এবং উল্লেখ করুন যে এটি খেলাটাকে আরও মজা এনে দেয়।
17. নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং গুছিয়ে রাখা
বাচ্চারা খাওয়ার সময় চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে খুব নোংরা করতে পারে অথবা তাদের খেলনা ও জামাকাপড়গুলি ব্যবহারের পর যথাযথ স্থানে গুছিয়ে নাও রাখতে পারে। নিজেদের পরিষ্কার রাখার অভ্যাসটা তাদের মধ্যে দৃঢ়ভাবে গেঁথে দিতে আপনি তাদের খাওয়ার পরে নিজের প্লেট সিঙ্কের মধ্যে ধোয়াতে শেখাতে পারেন অথবা ঘরের কাজকর্মে তাদের সাহায্য করার কথা বলতে পারেন। সময়ের সাথে তারা নিজে থেকেই পরিষ্কার থাকতে শিখে যাবে।
18. সৎ হতে শেখান
ছোট বয়স থেকেই বাচ্চাদের সৎ হয়ে উঠতে শেখান এবং বলুন কখনও যেন তারা মিথ্যে কথা না বলে।জীবনের এই মূল মন্ত্রগুলি আপনার বাচ্চার মধ্যে শুরু থেকেই গেঁথে দেওয়া উচিত। তারা যা বলে তা যেন তারা করে সে ব্যাপারে তাদের দৃঢ়চেতা হতে শেখান।মিছিমিছি ফাঁকা প্রতিশ্রুতির ফল কখনই তাকে মহান করে তুলতে পারে না–এ ব্যাপারটি তাদের বসিয়ে বোঝান এবং কেন সত্যি কথা সবসময় বলাটা জরুরি তা তাদের সামনে ব্যাখ্যা করুন। অটল হন এবং তাদের জানান যে সততাই হল চরম পথ।প্রথম থেকেই তাদের মধ্যে নৈতিক বিকাশ গড়ে তোলা তাৎপর্যপূর্ণ।
19. চোখ না সরিয়ে অন্যদের সাথে চোখের যোগাযোগ করতে শেখান
কথোপকথন করার সময় চোখের যোগাযোগ বজায় রাখা সামাজিক আত্মবিশ্বাস এবং মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নির্দেশ করে। আপনার বাচ্চাদের সাথে বেশ ভাল একটা সময় ব্যয় করে তাদের সাথে কথা বলার সময় চোখের যোগাযোগ রাখার অভ্যাসটি তাদের করতে শেখান এবং বোঝান এর গুরুত্ব। যদি তারা এই কৌশলটি শিখে নিতে পারে তবে তারা মানুষের সাথে ভাল সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলে বেড়ে উঠবে।
20. কখনও বাজে ভাষা যেন না ব্যবহার করে
জঘন্য ভাষা অত্যন্ত অসম্মানজনক এবং অপ্রীতিকর। বাচ্চাদের কখনই কারও সামনে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার না করা শেখানো উচিত, এমনকি তারা টিভিতে বা অন্য কোথাও সেটি শুনে থাকলেও। এটি থেকে নিজেকে সংযত রাখা হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাসগুলির একটি। তাদের এক জায়গায় শান্ত হয়ে বসান এবং ব্যাখ্যা করুন যে কেন এই জাতীয় ভাষা ব্যবহার করা ঠিক নয়।
21. কথোপকথনের মাঝখানে বাধা না দেওয়া
যেহেতু শিশুরা মৌখিকভাবে নিজেদের প্রকাশ করতে শেখে, বাবা-মায়েদের উচিত অন্যদের কথা বলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে শেখানো উচিত, যদি না খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলার থাকে।
22. এক্সকিউজ মি’ (ক্ষমা করবেন) বলা
কারও কথার মাঝখানে কথা বলতে হলে বিনীতভাবে ‘এক্সকিউজ মি’ বলতে শিখতে হবে। শিষ্টাচারের এই নিয়মটি ঢেকুর তুললে বা কাশলে অথবা কারও পাশ দিয়ে পার হবার সময়ও প্রযোজ্য।
23. কারও দেহগত আকৃতি নিয়ে মন্তব্য না করা
যদিও বাচ্চাদের সারল্য আপনার স্নেহের চোখে অনাবিল মনে হতে পারে, কিন্তু এর ফলে অন্য কেউ ক্ষুব্ধ হতে পারেন। তাদের জানা উচিৎ যে কাউকে মোটা বলা ঠিক নয়, এমনকি আড়ালেও।
24. কাশি বা হাঁচির সময় মুখের সামনে হাত রাখা
বাচ্চাদের অবশ্যই হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় তাদের মুখ ঢেকে রাখার অভ্যাস করতে হবে।
25. সবার সামনে নাক না খোঁটা
তাদের বলুন নাক খোঁটা একটি খারাপ অভ্যাস। তাদের বাড়ি ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে শেখান, বা ওয়াশরুমে যেতে বলুন।
26. কোনোকিছু যদি বিরক্তিকরও হয়, ঠোঁট না ওলটানো
অনেক সময় বাচ্চাদের ক্লাসে বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বসে থাকতে হয়, যাতে তাদের একটুও মজা লাগে না। তবুও তাদের শান্ত হয়ে ধৈর্য সহকারে ভালভাবে বসে থাকতে শেখান। খুব ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি কঠিন হতে পারে, কিন্তু যদি ধারাবাহিকভাবে শেখানো হয়, তারা বড় হওয়ার সাথে সাথে এটি অবশ্যই তাদের একটি অভ্যাসে পরিণত হবে।।
27. স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে শেখান
আপনার বাচ্চাদের বুঝতে হবে — বাতাসের মাধ্যমে এবং স্পর্শের মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায়। শিশুরা যখন ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করবে, তখন তারা সুস্থ ও নিরাপদ থাকবে।
28. শিষ্টাচার প্রদর্শন করুন
আপনার সন্তানকে বলুন যে কোনো খেলা বা সমাবেশ বিরক্তিকর হলেও, চুপচাপ বসে থাকা এবং মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
29. তাকে উপহারের জন্য ধন্যবাদ জানাতে বলুন
যদি আপনার সন্তান কারো কাছ থেকে উপহার পায়, তাহলে তাকে কৃতজ্ঞ হতে বলুন এবং তাকে "ধন্যবাদ" বলতে বলুন।
30. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বলুন
আপনার সন্তানকে শেখান যে তারা যদি কোথাও ভাল সময় কাটায় তবে তার জন্য তাকে ধন্যবাদ বলা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি তারা তাদের বন্ধুর বাড়িতে সময় কাটায়, তাহলে তাদের বন্ধুদের বাবা-মাকে ধন্যবাদ জানাতে বলুন।
31. আপনার সন্তানকে দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করতে শেখান
দিনে দুবার দাঁত ব্রাশ করা আপনার সন্তানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। তাই আপনার সন্তানকে এটা শেখান যাতে তারা দিনে দুবারদাঁত ব্রাশ করে
32. কিছু দরকার থাকলে সুন্দরভাবে বলা
যেমন ধরুন, খাবার সময়, যদি তাদের কিছু দরকার হয়, টেবিলের ওপর থেকে তা তুলে না নিতে শেখান। তার বদলে তাদের বলুন যেন সেটি আস্তে করে চায় এবং দেওয়া হয়ে গেলে ধন্যবাদ জানায়!
Comments
Post a Comment