বাংলা বর্ষপঞ্জি বা বঙ্গাব্দ হল ভারতীয় উপমহাদেশের বাংলা অঞ্চলে ব্যবহৃত একটি বর্ষপঞ্জি। বর্ষপঞ্জিটির সংশোধিত সংস্করণটিতে নির্দেশিত মোতাবেক বাংলাদেশে জাতীয় এবং সরকারী ভাবে দিবস সমূহ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং আসাম রাজ্যগুলি ক্যালেন্ডারের পূর্ববর্তী সংস্করণ অনুসরণ দিবস সমূহ উদযাপন করা হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জির নতুন দিনটিকে পহেলা বৈশাখ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
নববর্ষ পালন মানব সভ্যতারই অনুষঙ্গ। মানব সমাজে বর্ষবরণ উৎসবের শুরু সম্ভবত চার হাজার বছর আগে। মনে করা হয়, ব্যাবিলনে বর্ষবরণ উৎসবের সূত্রপাত। বাংলাদেশের মানুষও হাজার হাজার বছর ধরে বর্ষবরণ পালন করে আসছে।
বাংলা সন তথা পহেলা বৈশাখকে নববর্ষ হিসেবে পালনের রেওয়াজ মোগল সম্রাট আকবরের সময় থেকে। সম্রাট আকবর খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে এ সন চালু করেন। ফলে সন চালুর পর থেকে অদ্যাবধি বাংলার কৃষকরা জমির খাজনা বাংলা সনের হিসাবে মোতাবেক পরিশোধ করে আসছে।
ফসলের মওসুমের কথা বিবেচনায় রেখে এই সনের প্রবর্তন হয় বলে এর নাম ‘ফসলী সন’ হয়। পরবর্তীতে ‘ফসলী সন’ পরিবর্তিত হয়ে ‘বাংলা সন’ নামে অভিহিত হয়।
কেউ কেউ মনে করেন, হিন্দুরা বাংলা সনের প্রবর্তক। স্বভাবতই, যারা ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ, তারা মনে করেন যে, বাংরা সন অমুসলিমদের দ্বারা প্রবর্তিত একটি বর্ষপঞ্জী। বাংলা সনের সঙ্গে বাঙালির যেমন সম্পর্ক রয়েছে, তেমন সম্পর্ক রয়েছে ইসলামী ঐতিহ্যের।
ফিরে দেখা ইতিহাস
সম্রাট আকবরের আমলে সুবা-এ-বাংলা (বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা) মোগল শাসনের আওতাভুক্ত হয়। কিন্তু রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে এক জটিল সমস্যা দেখা দেয়। প্রজাদের দেয় খাজনা ফসলের মাধ্যমে আদায় করতে হলে বছরে একটি সময় নির্দিষ্ট থাকা আবশ্যক। কিন্তু সে কালের রাজকীয় সন অর্থাৎ হিজরী সন চন্দ্র ভিত্তিক হওয়ায় প্রতিবছর একই মাসে খাজনা আদায় সম্ভব হতো না। ফলে, সম্রাট আকবর একটি সৌরভিত্তিক সন প্রচলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। উল্লেখ্য, চান্দ্র বৎসর ৩৬৫ দিনের না হয়ে ৩৫৪ দিনের হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রতি বছর ১১ দিন পার্থক্য হয়। ফলে, চান্দ্রভিত্তিক আরবী মাস বৎসরের সৌরভিত্তিক ঋতুর সঙ্গে সুনির্দিষ্ট কোনো সামঞ্জস্য বহন করে না।
সম্রাট আকবরের নির্দেশে রাজ দরবারের জ্যোতির্বিজ্ঞানী আমীর ফতেহ উল্লাহ সিরাজী ৯৯৮ হিজরী মোতাবেক ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দে ‘বাংলা সন’ উদ্ভাবন করেন। আরবি সন ‘হিজরি’ হলো চন্দ্রভিত্তিক এবং ইংরেজি তথা গ্রেগরীয়ান সন হলো সৌরভিত্তিক। তিনি (আমীর ফতেহ উল্লাহ সিরাজী)চন্দ্রবর্ষ (হিজরী) ও সৌরবর্ষ (ইংরেজি)-কে সামনে রেখে বাংলা সন প্রবর্তন করেন।
হিজরী সন এবং সম্রাট আকবরের রাজ্যভিষেক
বাদশাহ আকবর ৯৬৩ হিজরীতে অথাৎ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে (১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে) দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন। এই ঐতিহাসিক ঘটনা চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য ৯৬৩ হিজরী অবলম্বন করেই বাংলা সন চালু করা হয়। অর্থাৎ ১, ২, ৩ এভাবে হিসেব না করে মূল হিজরী সনের তৎকালীন চলতি বছর থেকেই বাংলা সনের গণনা শুরু হয়। ফলে জন্ম বছরেই বাংলা সন ৯৬৩ বৎসর বয়স নিয়ে যাত্রা শুরু করে। উল্লেখ্য, হিজরী সনের ক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। এ সনের শুরু রসুল (সাঃ)-এর মক্কা থেকে মদিনা হিজরতের দিন থেকে। মহানবী (সা.) স্বয়ং আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরী সন চালু করেননি। ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রবর্তন করেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.)। সে বিবেচনায় বাংলা সন ইসলামী ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক।
হিজরি বর্ষপঞ্জির ক্ষেত্রে যেমন হিজরার দিন ও মাস (১২ রবিউল আউয়াল) নির্দিষ্টভাবে গ্রহণ না করে শুধুমাত্র বছর (৬২২ খ্রি.) সংরক্ষণ করা হয়, তেমনিভাবে বাংলা সনের ক্ষেত্রেও সম্রাট আকবরের রাজ্যাভিষেকের দিন ও মাস (১৪ ফেব্রুয়ারি) গণনা না করে শুধুমাত্র বৎসরটি (৯৬৩ হিজরী) মেনে চলা হয়।
পহেলা বৈশাখ কেন নববর্ষ?
হিজরী সনের প্রথমদিন হলো পহেলা মহররম। বাংলা সনের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। ৯৬৩ হিজরীতে যখন ‘বাংলা সন’ শুরু করা হয়, তখন মহররম মাস ও বৈশাখ মাস একই সঙ্গে আসে। ফলে বৈশাখ মাসকেই বাংলা সনের প্রথম মাস হিসাবে চিহ্নিত করা হয় এবং পহেলা বৈশাখই ‘নববর্ষ’ হিসেবে পরিচিহ্নিত হয়।
উল্লেখ্য, ‘ইংরেজি’ তথা গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডারের ক্ষেত্রেও প্রথমে ১ মার্চ ছিল ‘নিউ ইয়ারস ডে’। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে পহেলা জানুয়ারি সে সম্মানজনক স্থান দখল করে নেয়।
সপ্তাহ বা সাত দিনের নাম
সম্রাট আকবরের সময় মাসের প্রতিটি দিনের জন্য পৃথক পৃথক নাম ছিল। সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে এ জটিল প্রথা পরিহার করে সপ্তাহের সাতটি দিনের জন্য সাতটি নাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে ব্যবহৃত ঐ সাতটি নামের সঙ্গে রোমান সাপ্তাহিক নামগুলোর সাদৃশ্য সহজেই পরিলক্ষিত হয়। অনুমিত হয় যে, বাদশাহ শাহজাহানের দরবারে আগত কোনো ইউরোপীয় (সম্ভবত পর্তুগীজ) মনীষীর পরামর্শক্রমে মূলত গ্রহপুঞ্জ থেকে উদ্ভূত নিম্নবর্ণিত নামগুলোর প্রচলন করা হয় :
- রবি (সূর্য)- Sun বা সূর্য থেকে
- সোম (চন্দ্র) Monan অর্থাৎ Moon থেকে
- মঙ্গল Mars বা মঙ্গল গ্রহ থেকে
- বুধ Mercury বা বুধ গ্রহ থেকে
- বৃহস্পতি Jupiter বা বৃহস্পতি গ্রহ থেকে
- শুক্র Frigg (বা Venus) থেকে এবং
- শনিবার Saturn বা শনি গ্রহ থেকে।
বার মাসের নাম
আমীর ফতেহ উল্লাহ সিরাজী বাংলা সনের মাসের নামগুলো নিয়েছেন শকাব্দ থেকে। ফলে সনটি উপমহাদেশের প্রধান দুই ধর্মাবলম্বী হিন্দু ও মুসলমান উভয়ের নিকট একটি পবিত্র সনের মর্যাদা লাভ করে। বর্তমান ভারতের জাতীয় সন হচ্ছে শকাব্দ।
‘ফসলী সন’ যখন প্রবর্তিত হয়, তখন কিন্তু ১২ মাসের নাম ছিল : কারওয়াদিন, আরদিভিহিসু, খারদাদ, তীর, আমরারদাদ, শাহরিয়ার, মিহির, আবান, আয়ুব, দায়, বাহমান ও ইসকান্দার মিয। পরবর্তী পর্যায়ে সেগুলো বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ইত্যাদিতে রূপান্তরিত হয়।বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন যে, নাক্ষত্রিক নিয়মে বাংলা সনের মাসগুলোর নাম নিম্নেবর্ণিত নক্ষত্রসমূহের নাম থেকে উদ্ভত হয়েছে :
- বৈশাখ-বিশাখা
- জ্যৈষ্ঠ-জ্যেষ্ঠা
- শ্রাবণ-শ্রাবণা
- ভাদ-ভাদ্রপদা
- আশ্বিন-আশ্বিনী
- কার্তিক-কার্তিকা
- অগ্রহায়ণ-অগ্রহায়ণ
- পৌষ-পৌষা
- মাঘ-মঘা
- ফাল্গুন- ফাল্গুনী
- চৈত্র-চিত্রা।
বাংলা একাডেমির অবদান
১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলা একাডেমি কর্তৃক ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর তত্ত্বাবধানে বাংলা সনের যুগোপযোগী সংস্কার সাধিত হয়। অধিবর্ষের (Leap Year) ব্যবস্থাসহ দিন ও তারিখাদির অনিয়ম সংশোধন করে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয় :
- মোঘল আমলে বাদশাহ আকবরের সময়ে হিজরী সন ভিত্তিক যে বঙ্গাব্দ প্রবর্তন করা হয় তা থেকে বছর গণনা করতে হবে।
- সহজভাবে বাংলা মাস গণনার নিমিত্তে প্রথম পাঁচ মাস অর্থাৎ বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত প্রতি মাস ৩১ দিন হিসেবে এবং শেষ সাত মাস অর্থাৎ আশ্বিন থেকে চৈত্র পর্যন্ত প্রতি মাস ৩০ দিন হিসেবে পরিগণিত হবে।
সংশোধিত এই বাংলা সন এ দেশ কিন্তু সহজে গ্রহণ করেনি। গ্রেগরীয়ান ক্যালেন্ডারের স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় দেশগুলো যে রকম গড়িমসি করেছিল, বাংলা একাডেমি কর্তৃক সংশোধিত ‘বাংলা সন’ গ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশেও কিন্তু কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা যায়। ফলে, সংশোধনের প্রায় দুই যুগ পর ১৯৮৮ সালের ১৯ জুন তারিখে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ‘বাংলা সন’-এর সংশোধিত রূপ স্বীকৃত দেয়।
সন হিসেবে ‘বাংলা সন’ নিঃসন্দেহে অতীব কার্যকর ও বিজ্ঞানসম্মত বলে বিবেচিত হয়। এর কারণ হলো এটি একই সঙ্গে চান্দ্র (Lunar) ও সৌর (Solar) পদ্ধতির সার্থক উত্তরাধিকারী। এর প্রথমাংশ, অর্থাৎ ৯৬৩ বৎসর, সম্পূর্ণরূপে হিজরী সনভিত্তিক তথা চন্দ্র সন। পরবর্তী অংশ, অর্থাৎ ৯৬৩ থেকে অদ্যবধি, সৌর ভিত্তিক। ফলে, বিশ্বে সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত ‘ইংরেজি’ তথা ‘গ্রেগরীয়ান’ ক্যালেন্ডারের সঙ্গে ‘বাংলা সন’ সামঞ্জস্য রেখে চলে।উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায় যে, ৯৬৩ বাংলা বর্ষে পহেলা বৈশাখ হয়েছিল ১১ এপ্রিল, ১৫৫৬ তারিখে। এ বৎসর, অর্থাৎ ১৪২৫ বাংলা সনে, পহেলা বৈশাখ আমরা পাচ্ছি ১৪ এপ্রিল। অর্থাৎ ১৪২৫-৯৬৩=৪৬২ বছরে পার্থক্য হয়েছে মাত্র ৩ দিন। আর, ভবিষ্যতে সে পার্থক্য এর চেয়ে একদিনের অধিক কখনও হবে না।
২০১৮-এর বাংলা বর্ষপঞ্জি সংস্কার
বাংলাদেশে ২০১৮ সালের পর বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পুরানো বাংলা বর্ষপঞ্জি আবার পরিবর্তন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এই সংস্করণে জাতীয় দিবসগুলো পশ্চিমের সঙ্গে দিনপঞ্জির সাথে মেলাতে নতুন কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। নতুন এই পরিবর্তনের ফলে, ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস, ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যথাক্রমে ৮ ফাল্গুন, ১২ চৈত্র ও পৌষ ১ তারিখে পড়বে, যেমনটি গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জিতে আগামী ১০০ বছর ধরে নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১৯৫২ ও ১৯৭১ সাল ছিলো। বাংলা আরো কিছু কিছু দিবস ইংরেজি তারিখে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে যেমন বাংলা নববর্ষ ১৪ এপ্রিল, ২৫ বৈশাখের রবীন্দ্রজয়ন্তী ৮ মে এবং নজরুল জয়ন্তী ২৫ মে।
এর আগে বাংলা বর্ষপঞ্জি দুবার সংশোধন করা হয়েছিল। ভারতীয় জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা ১৯৫০-এর দশকে (ভারতীয় জাতীয় বর্ষপঞ্জি) ও বাংলাদেশের অধ্যাপক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯৬৩ সালে প্রথম সংশোধনীর নেতৃত্ব দেন। .
ইসলামের দৃষ্টিতে
‘সন’ ও ‘তারিখ’ দুটিই আরবি শব্দ। প্রথমটির অর্থ হলো ‘বর্ষ’ বা ‘বর্ষপঞ্জী’ এবং অন্যটির অর্থ ‘দিন’। ‘সাল’ হচ্ছে একটি ফারসি শব্দ, যার অর্থ হলো বৎসর।চন্দ্রবর্ষ (হিজরী) ও সৌরবর্ষ (ইংরেজি)-কে সামনে রেখে বাংলা সন প্রবর্তন করা হয়।সুতরাং বাংলা সন আরবী ‘হিজরি’ সনের উত্তরাধিকার।
চন্দ্র-সূর্য সব কিছুই যেমন আল্লাহর সৃষ্টি, তেমনি চান্দ্রবর্ষ বা সৌরবর্ষ (যেভাবেই সময়কে ভাগ করা হোক না কেন), সব কিছুর নিয়ন্তা মহান আল্লাহ।এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,
“(আল্লাহ হচ্ছেন) তিনিই যিনি সৃষ্টি করেছেন রাত, দিন, চন্দ্র ও সূর্য। এদের প্রত্যেকেই পরিভ্রমণে নিয়োজিত রয়েছে নিজ নিজ কক্ষপথে, নিজস্ব গতিবেগ সহকারে।’ সূরা আম্বিয়া, ৩৩ নং আয়াত।
“সূর্য কখনই চন্দ্রকে ধরতে পারবে না কিংবা রাত কখনো অতিক্রম করতে পারবে না দিনকে।প্রত্যেকেই পরিভ্রমণে নিয়োজিত নিজ নিজ কক্ষপথে, নিজস্ব গতিবেগ সহকারে।” সূরা ইয়াসিন, ৩৬ নং আয়াত।
উপসংহার
বাংলা সন বা পঞ্জিকা গ্রামের কৃষকরা ব্যবহার করে। হিন্দুদের মধ্যেও এর ব্যবহার লক্ষনীয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, শিক্ষিত বাঙ্গালিরা ইংরেজি সন ব্যবহার করে এবং বাংলা সনকে অবজ্ঞা করে। শহর-গ্রাম এবং সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বাংলা সনের ব্যবহার প্রসার ঘটাতে হবে। বিজ্ঞানসম্মত এবং মুসলমান কর্তৃক প্রবর্তিত চন্দ্র ও সৌর ভিত্তিক এই ‘বাংলা সন’ নিঃসন্দেহে আমাদের গৌরব।
Comments
Post a Comment