Skip to main content

USB ড্রাইভে উইন্ডোজ ১০ ক্লোন করা যায় কিভাবে দেখুন

 বর্তমান সময়ে সবচেয়ে চমকপ্রদ ও নিত্যনতুন ফিচার যেই অপারেটিং সিস্টেমে পাওয়া যায়, সেটি হচ্ছে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম। আপনি এই অপারেটিং সিস্টেমকে আপনার পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড করতে পারেন। 


তবে যেহেতু উইন্ডোজের কাস্টমাইজড কোয়ালিটি অনেক বেশি, তাই আপনি যখন আপনার কম্পিউটার ব্যতীত অন্য কোন কম্পিউটারে কাজ করেন, তখন সেখানে আবার নতুন করে উইন্ডোজ নিজের পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজড করা সত্যিই এক ঝামেলার বিষয়।

তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা আপনাকে শেখাবো কিভাবে আপনি USB ড্রাইভে উইন্ডোজ ১০ Clone করে অন্য কোন কম্পিউটারে ব্যবহার করবেন।

পেজ সুচিপত্রঃ USB ড্রাইভে উইন্ডোজ ১০ ক্লোন করা যায়

USB ড্রাইভে উইন্ডোজ ১০ Clone করার প্রয়োজনীয়  Requirements

Windows To Go ফিচারটি মূলত উইন্ডোজ ৮ এবং ১০ ভার্সনে ব্যবহৃত হওয়া একটি জনপ্রিয় ফিচার। এই ফিচারটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার নিজস্ব কাস্টমাইজড করা উইন্ডোজ USB ড্রাইভে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। 

এছাড়া আপনার একটি অতিরিক্ত USB ড্রাইভ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে যদি আপনি উইন্ডোজ নতুন ভার্সন নিতে চান, তাহলে অবশ্যই ৩২ জিবি সাপোর্টেড USB ড্রাইভ প্রয়োজন। আর যদি আপনি আপনার কাস্টমাইজড করা উইন্ডোজ ক্লোন করতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে ৫১২ জিবি ১০০০ জিবি পরিমানের Portable Hard Disk ব্যবহার করার পরামর্শ দেবো। এছাড়া আপনার হার্ডডিস্ক অবশ্যই USB 3.0 বা তার উপরের ভার্সন সাপোর্টেড হতে হবে।

সর্বশেষ, আপনাকে WinToUsb সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিতে হবে। 

USB ড্রাইভে উইন্ডোজ ১০ Clone করার প্রাথমিক কিছু প্রক্রিয়া

এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার উইন্ডোজ থেকে অপ্রয়োজনীয় সবকিছু ডিলেট করে দিতে হবে। Revo Uninstaller এর মাধ্যমে আপনি চাইলে অপ্রয়োজনীয় সবকিছু ডিলেট করে দিতে পারেন।


এছাড়া যদি আপনার উইন্ডোজ এপ্রিল ২০১৮ এর ফিচারে আপগ্রেড করে থাকেন, তাহলে পূর্বের ভার্সনের ফাইলগুলো ডিলেট করে দিন। এতে আপনার ১০ জিবির উপর হার্ডডিস্ক খালি হবে।

আপনার নির্ধারিত ড্রাইভ ফরম্যাট করে নিন

আপনি যেই ড্রাইভে উইন্ডোজ রাখবেন, তা প্রথমে  MBR (Master Boot Record) partition format করে নিতে হবে এবং system & boot partitions থাকতে হবে। যেহেতু ড্রাইভ GPT (GUID Partition Table) ব্যবহার করে, তাই প্রথমে আপনাকে EaseUS Partition Master Free এর মাধ্যমে GPT থেকে MBR এ কনভার্ট করে নিতে হবে। যদি কনভার্ট না করেন, তাহলে আপনি উইন্ডোজ ক্লোন করতে পারবেন না।

USB ড্রাইভে উইন্ডোজ ১০ Clone করার মূল প্রক্রিয়া 

যেহেতু ক্লোনিং করার ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগে, সেক্ষেত্রে WinToUsb সফটওয়্যার ক্লোন হওয়ার পর আপনার কম্পিউটার অটোমেটিক বন্ধ করে দেবে এবং এটি অবশ্যই একটি ভালো প্রক্রিয়া।

  • প্রথমে আপনার পিসিতে অতিরিক্ত হার্ড ডিস্কটি যুক্ত করুন এবং WinToUsb সফটওয়্যারটি রানিং করুন। তারপর নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন।
  • তারপরের পেজে আপনি আপনার হার্ড ডিস্ক সিলেক্ট করুন।
  • তারপর system partition এবং boot partition লিস্ট থেকে দু'টি অপশনই সিলেক্ট করুন। তারপর Yes বাটনে ক্লিক করুন এবং তারপর Next বাটনে ক্লিক করুন।
  • তারপর আপনার কম্পিউটার রিস্টার্ট হবে এবং ক্লোনিং প্রসেস শুরু করবে।

এইভাবে আপনি খুব সহজেই আপনার কাস্টমাইজড করা উইন্ডোজ Portable USB Drive এ ক্লোনিং করে অন্য কোন কম্পিউটারে সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।

Portable ড্রাইভ থেকে উইন্ডোজ Boot করে নিন

যদি আপনি আপনার অতিরিক্ত ড্রাইভ থেকে অন্য কোন পিসিতে আপনার কাস্টমাইজড করা উইন্ডোজ ব্যবহার করতে চান, তাহলে ড্রাইভটি যে কোন একটি পিসির সঙ্গে যুক্ত করুন এবং সেখান থেকে Boot করে নিন।

মূলত উইন্ডোজ ক্লোন করে অন্য কোন স্থানে ব্যবহার করতে পারা অনেক বড়কিছু। যখন নিজের কাস্টমাইজড করা উইন্ডোজ অন্য কোন কম্পিউটারে ব্যবহার করার প্রশ্ন আসে, তখন কেবল দু'টি অপশন সামনে আসে।

হয়ত আপনাকে অন্য কোন কম্পিউটার থেকে আপনার কম্পিউটার রিমোট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বা আপনার কাস্টমাইজড উইন্ডোজ ক্লোনিং করে ব্যবহার করতে হবে।

জেনে রাখা জরুরী

উইন্ডোজ রিমোটলি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে High Speed ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন, যা অনেকক্ষেত্রে আমরা পেয়ে থাকি না। তাই উইন্ডোজ ক্লোনিং করার বিষয়টি সর্বাধিক উপযুক্ত বিষয়। এছাড়া উইন্ডোজ ক্লোন করার বিষয়টি একটু কঠিন হলেও যদি একবার শিখে নিতে পারেন, তাহলে বলবো আপনি উইন্ডোজের আসল মজাদার কোন ফিচার ব্যবহার করছেন।

USB ড্রাইভে উইন্ডোজ ১০ Clone করার বিষয়ে আমাদের লেখা আর্টিকেলটি আপনার কেমন লেগেছে, তা আমাদের জানাতে পারেন। আমাদের লেখা এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না।

Comments

Popular posts from this blog

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সমসাময়িক জীবনে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ - একটি অনিবার্য উপাদান, বিশেষ করে যারা ব্যস্ত জীবন যাপন করেন এবং তথ্য আপডেটের জন্য এটির উপর নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেরা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে এবং অসংখ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ অনলাইন ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি হল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা। একটি সমীক্ষা অনুসারে ২০২১ সালে প্রায় ৮২% আমেরিকানদের এক বা একাধিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি প্রোফাইল ছিল, যা আগের বছরের ব্যবহারের হার থেকে ২% বেশি। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২৩ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক কানেক্টিভিটি কানেক্টিভিটি সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। এটি যেকোনো সময়, সর্বত্র অগণিত ব্যবহারকারীকে লিঙ্ক করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, যা মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা সহজ...

কিওয়ার্ড কি, কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে ?

অনলাইন ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড (keyword) বিশাল একটা জিনিস কারন একটা সামান্য keyword আপনার জীবন কল্পনাহীন পরিবর্তন করে দিতে পারে যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে খুঁজে পান। সুতরাং সবাই চায় সঠিক এবং ভালো কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে । আমাদের, keyword নিয়ে বিস্তারিত যেমন – কিওয়ার্ড কি, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড স্টাফিং কি জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি সাথে জেনে নেওয়া দরকার কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোণগুলো। কিওয়ার্ড-keyword-কি-কত-প্রকার-কিওয়ার্ড-রিসার্চ-কিভাবে-করে সূচিপত্র 1 কিওয়ার্ড(keyword)কি 2 কিওয়ার্ড কত প্রকার(types of keywords) 2.1 ক. অভিপ্রায় ভিত্তিক প্রকার (Based On Keyword Intend ) – 2.1.1 ১. মার্কেটিং কিওয়ার্ড(marketing) 2.1.2 ২. ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড (brand) 2.1.3 ৩. লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (geo-targeting) 2.1.4 ৫. কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ড(competitor) 2.1.5 ৬. কাস্টমার বেসড কিওয়ার্ড (customer centric) 2.2 খ. কিওয়ার্ড দৈর্ঘ্য নির্ভর ভাগ (based on length) 2.2.1 ১. Short-tail keyword ...

প্রসেসর কি? প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটাকে CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে জানি। কম্পিউটারের এই অংশটি মূলত আমাদের কমান্ড প্রসেস করে এবং আউটপুট দেয়। প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ প্রসেসিং ইউনিট ছাড়া আমরা কম্পিউটারের কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে জানবো প্রসেসর কি, কিভাবে কাজ করে, এর গঠন কি এবং প্রসেসর কি কি। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের ব্লগ পোস্ট। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর আপনি প্রসেসর সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রসেসর কি? প্রসেসর হল আমাদের ফোন বা ল্যাপটপে এক ধরনের বিশেষ হার্ডওয়্যার যা আমাদের নির্দেশ বা ইনপুট গ্রহণ করে এবং আমাদের ডিসপ্লের সামনে আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করে। সহজ ভাষায় যিনি প্রসেস করেন তিনি প্রসেসর। অর্থাৎ, আমাদের নির্দেশগুলি প্রসেস করে ভিজ্যুয়াল আকারে আমাদের কাছে আনা হয়। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রসেসর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসর ছাড়া এই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস একেবারেই অচল। প্রসেসর হল এক প্রকার গাণিতিক ইঞ্জিন। কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূ...