Skip to main content

এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষার ৯ টি টিপস জেনে নিন

 আমরা বর্তমান সময়ে নিজেদের প্রয়োজনে এন্ড্রোয়েড স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকি। এই স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বদায় একটি অভিযোগ থাকে আর তা হলো, এন্ড্রোয়েড ব্যাটারি সুরক্ষিত থাকে না। 

এন্ড্রোয়েড ব্যাটারি

হয়তো বিভিন্ন সময় ব্যাটারি ফুলে যায় বা ব্যাটারি ক্যাপাসিটি অধিক থাকা সত্ত্বেও চার্জ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। এসমস্ত অভিযোগ আমরা প্রতিনিয়ত শোনে থাকি এবং এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষার টিপস সকলেই চেয়ে থাকে। 

পেজ সূচিপত্রঃ এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষার ৯ টি টিপস


আজ আমাদের আর্টিকেলে আমরা এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষার টিপস নিয়ে বিশদ ও বিস্তারিত আলোচনা করবো। 

এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষার টিপস

আজকের আর্টিকেলে আমরা এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষার টিপস নিয়ে বিশদ আলোচনা করবো। নিম্মোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনিও খুব সহজে আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।

  1. Turn On Power Saving Mode: এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষার প্রথম টিপস হলো Power Saving Mode চালু করা। এই অপশনটি চালু করার মাধ্যমে আপনার ডিভাইসে যেসমস্ত এপস ও প্রোগ্রাম বেশি চার্জ কাটে, সেগুলো অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যাবে এবং আপনার মোবাইলে বেশিক্ষণ চার্জ স্থায়ী হবে। সুতরাং, Power Saving Mode ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।
  2. Wi-Fi Is Your Friend: সর্বদা Wi-Fi নেটওয়ার্ক ব্যবহার করুন এবং Cellular Data ব্যবহার করা হতে বিরত থাকুন। কেননা, ডাটা কানেকশন আপনার ডিভাইসের চার্জ অতিরিক্ত পরিমাণে খরচ করে। সুতরাং, সর্বদা Wi-Fi ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।
  3. Give the Active Tracking a Rest: আপনার ডিভাইসের Bluetooth, NFC, Location Service ও Google Assistant সহ বিভিন্ন ফিচার ব্যবহার হতে বিরত থাকুন। কেননা, এসব ফিচার সর্বদা আপনার ডিভাইসের চার্জ খরচ করে। তাই প্রয়োজন ব্যতীত এসমস্ত ফিচার বন্ধ রাখুন এবং আপনি আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।
  4. Your Screen Is Too Bright: আমরা আমাদের মোবাইল স্ক্রিন অধিক পরিমাণে ব্রাইট বাড়িয়ে রাখি। এই ফিচারটি আমাদের মোবাইলের চার্জ অতিরিক্ত পরিমাণে খরচ করে। আপনি Brightness, Screen Time-Out কমিয়ে এবং Auto Brightness বন্ধ করে আপনার ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেন।
  5. Rethink Wallpaper and Widgets: আপনার ডিভাইসে সর্বদা Live Wallpaper, অধিক পিক্সেলের Wallpaper ও Widgets ব্যবহারের কারণে ব্যাটারির সুরক্ষার বিঘ্নতা ঘটে। তাই এসব ব্যবহার হতে বিরত থাকুন এবং আপনি আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করুন।
  6. Silence Your Phone: আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আপনার ডিভাইস সর্বদা Silence রাখুন। এতে আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির চার্জ কম ক্ষয় হবে এবং আপনি আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।
  7. Take Control of Your Apps: আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আপনার ডিভাইস ইনস্টল করা সমস্ত এপসের Auto Update বন্ধ করে দিন। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।
  8. Ask a Third-Party App: এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোন Third Party এপসের সাহায্য নিন। এক্ষেত্রে আপনি IFTTT বা Greenify এর মত এপসের সাহায্য নিয়ে আপনার বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় সার্ভিস ও প্রোগ্রাম বন্ধ রাখতে পারবেন এবং আপনি আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।
  9. Buy a Portable Battery or Case: সর্বশেষ আপনি সহজেই এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য একটি অতিরিক্ত ব্যাটারি বা Power Bank ব্যবহার করতে পারেন। যা আপনার ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে গেলে সাহায্য করবে ও আপনি আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।
আশা করছি, উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই আপনার এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।

জেনে রাখা জরুরী

যেহেতু এখনকার সময়ে ব্যাটারি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে না পারা একটি প্রধান সমস্যা এবং আমরা সকলেই এর সমাধান খুঁজে থাকি। যদি আপনিও আপনার ব্যাটারির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চান, তাহলে আমাদের আর্টিকেলে উল্লেখ করা সমস্ত টিপস ও ট্রিকস মনযোগ সহকারে পড়ুন। 

এন্ড্রোয়েড ব্যাটারির সুরক্ষা নিয়ে লেখা আমাদের আর্টিকেল আপনার কেমন লেগেছে, তা কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট ও শেয়ার করুন। 


Comments

Popular posts from this blog

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সমসাময়িক জীবনে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ - একটি অনিবার্য উপাদান, বিশেষ করে যারা ব্যস্ত জীবন যাপন করেন এবং তথ্য আপডেটের জন্য এটির উপর নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেরা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে এবং অসংখ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ অনলাইন ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি হল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা। একটি সমীক্ষা অনুসারে ২০২১ সালে প্রায় ৮২% আমেরিকানদের এক বা একাধিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি প্রোফাইল ছিল, যা আগের বছরের ব্যবহারের হার থেকে ২% বেশি। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২৩ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক কানেক্টিভিটি কানেক্টিভিটি সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। এটি যেকোনো সময়, সর্বত্র অগণিত ব্যবহারকারীকে লিঙ্ক করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, যা মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা সহজ...

কিওয়ার্ড কি, কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে ?

অনলাইন ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড (keyword) বিশাল একটা জিনিস কারন একটা সামান্য keyword আপনার জীবন কল্পনাহীন পরিবর্তন করে দিতে পারে যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে খুঁজে পান। সুতরাং সবাই চায় সঠিক এবং ভালো কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে । আমাদের, keyword নিয়ে বিস্তারিত যেমন – কিওয়ার্ড কি, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড স্টাফিং কি জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি সাথে জেনে নেওয়া দরকার কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোণগুলো। কিওয়ার্ড-keyword-কি-কত-প্রকার-কিওয়ার্ড-রিসার্চ-কিভাবে-করে সূচিপত্র 1 কিওয়ার্ড(keyword)কি 2 কিওয়ার্ড কত প্রকার(types of keywords) 2.1 ক. অভিপ্রায় ভিত্তিক প্রকার (Based On Keyword Intend ) – 2.1.1 ১. মার্কেটিং কিওয়ার্ড(marketing) 2.1.2 ২. ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড (brand) 2.1.3 ৩. লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (geo-targeting) 2.1.4 ৫. কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ড(competitor) 2.1.5 ৬. কাস্টমার বেসড কিওয়ার্ড (customer centric) 2.2 খ. কিওয়ার্ড দৈর্ঘ্য নির্ভর ভাগ (based on length) 2.2.1 ১. Short-tail keyword ...

প্রসেসর কি? প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটাকে CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে জানি। কম্পিউটারের এই অংশটি মূলত আমাদের কমান্ড প্রসেস করে এবং আউটপুট দেয়। প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ প্রসেসিং ইউনিট ছাড়া আমরা কম্পিউটারের কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে জানবো প্রসেসর কি, কিভাবে কাজ করে, এর গঠন কি এবং প্রসেসর কি কি। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের ব্লগ পোস্ট। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর আপনি প্রসেসর সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রসেসর কি? প্রসেসর হল আমাদের ফোন বা ল্যাপটপে এক ধরনের বিশেষ হার্ডওয়্যার যা আমাদের নির্দেশ বা ইনপুট গ্রহণ করে এবং আমাদের ডিসপ্লের সামনে আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করে। সহজ ভাষায় যিনি প্রসেস করেন তিনি প্রসেসর। অর্থাৎ, আমাদের নির্দেশগুলি প্রসেস করে ভিজ্যুয়াল আকারে আমাদের কাছে আনা হয়। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রসেসর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসর ছাড়া এই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস একেবারেই অচল। প্রসেসর হল এক প্রকার গাণিতিক ইঞ্জিন। কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূ...