Skip to main content

অনুমোদিত মার্কেটিংঃ ব্লগারদের জন্য একটি সম্পূর্ণ নির্দেশনা

 আমাদের মধ্যে অনেকেই ঘুমানোর সময়ও উপার্জন করতে চায়।

তারা চায় হঠাৎ একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে
ল্যাপটপ ওপেন করে নিজের ব্যাংক একাউন্টে অনেক টাকা দেখতে। 

শুনতে খুব ভালো লাগছে তাইনা?
আসলেই এমন উপায় আছে এবং তা পরীক্ষিত।
কিন্তু এর জন্য আপনাকে একটি জিনিস শিখতে হবে আর তা হলো অনুমোদিত মার্কেটিং। 

আপনি কি শেখার জন্য প্রস্তুত? তাহলে চলুন শুরু করা যাক।


অনুমোদিত মার্কেটিং এর সম্পূর্ণ নির্দেশনা

অনুমোদিত বিপণনের চূড়ান্ত গাইড

১. অনুমোদিত মার্কেটিং কী?

২. অনুমোদিত মার্কেটিং কীভাবে কাজ করে?

 ৩. এমন কিছু উপায় যার মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন

 ৪) অনুমোদিত মার্কেটিং প্রোগ্রাম এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলি

৫. অনুমোদিত মার্কেটিং এর ৩ টি প্রকারভেদ

৬.কিভাবে অনুমোদিত বিপণন শুরু করবেন?

 ৭. আপনার কোন অনুমোদিত নেটওয়ার্ক গুলো  বিবেচনা করা উচিত?

 ৮. আপনার অনুমোদিত মার্কেটিং এর মাধ্যমে উপার্জন বাড়ানোর জন্য বিশেষ টিপস

 ৯. কীভাবে একজন ব্লগার সফল অনুমোদিত মার্কেটার হবেন?

১০. উপসংহার 

অনুমোদিত মার্কেটিং কি?

অনুমোদিত মার্কেটিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি অন্য কারও পন্য বা সেবা সম্বন্ধে প্রচার করার জন্য কমিশন পেয়ে থাকেন।


আপনি একজন অনুমোদক হিসাবে প্রচারের জন্য কমিশন পেতে পারেন বা সদস্যপদ অথবা সাবস্ক্রিপশন ফি হিসাবে আয় করতে পারেন।



যখন আসল মার্কেটিং এর বিষয় আসে, তখন অনুমোদিত মার্কেটিং এর দুইটি পক্ষ থাকেঃ

১. পন্যের উৎপাদক

২. অনুমোদিত মার্কেটার এর বিক্রয়কারী


যাইহোক, একটি সফল অনুমোদিত মার্কেটিং এর তিনটি পক্ষ থাকেঃ

১. মার্চেন্ট




এরা হলো পন্যের আসল প্রস্তুতকারী। এটা একজনও হতে পারে কিংবা বিশাল কোম্পানিও হতে পারে।

২. অনুমোদক




অনুমোদক  প্রকাশক, সহযোগী বা অংশীদার হিসাবে পরিচিত, অনুমোদক একটি ব্যক্তি বা একটি সম্পূর্ণ সংস্থাও হতে পারে। অনুমোদিত সংস্থাগুলি মাসে কয়েকশো ডলার বা কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারে কমিশন হিসাবে।

৩. ব্যবহারকারী





এরা হচ্ছে প্রস্তুতকৃত পন্যের আসল ব্যবহারকারী যাদের ছাড়া এই প্রক্রিয়ার কোন মূল্যই নেই।

অনুমোদিত মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে?


এর জন্য আপনাকে প্রথমে সেই পন্য বা কোম্পানি খুজতে হবে যেখানে আপনি অনুমোদক হিসাবে কাজ করবেন।

এমন পণ্য খুজে বের করুন যাতে আপনার ব্লগের সাথে সামঞ্জস্যতা পায় এবং গ্রাহকরাও পছন্দ করে।

খোজার পর আপনাকে সেই মার্চেন্ট এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে। এতে আপনি অনুমোদক হওয়ার যোগ্যতা লাভ করতে পারবেন। 



যেসব মাধ্যম থেকে আপনি অর্থ উপার্জন করবেন











অনুমোদিত মার্কেটিং এর আরও কিছু জরুরি বিষয়াবলী 


অনুমোদিত মার্কেটিং প্রোগ্রাম এর আরো কিছু বিষয়বস্তু রয়েছে যেগুলো এই ছবিতে দেখানো হলো। প্রয়োজন হলে অনুসন্ধান করে বিস্তারিত জানতে পারেন।


৩ ধরনের অনুমোদিত মার্কেটিং

১. বিচ্ছিন্ন অনুমোদিত মার্কেটিং

এটা হলো এমন এক ধরনের পে পার ক্লিক ক্যাম্পেইন যেখানে প্রচার কাজে কোন কতৃপক্ষ বা উপস্থিতির দরকার পড়েনা।

এই কাজের জন্য ফেসবুক বিজ্ঞাপন এবং গুগল অ্যাডওয়ার্ডস ব্যবহার করা হয় যাতে প্রতি ক্লিকে আপনি কমিশন পান।





২. সম্পর্কযুক্ত  অনুমোদিত মার্কেটিং

এই ধরনের অনুমোদনে অনলাইন উপস্থিতির দরকার পড়ে। এখানে ব্লগ, ভিডিও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা পোডকাস্ট এর ব্যবহার হতে পারে যেখানে অনুমোদিত পন্যের লিংক থাকে।



৩. সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত মার্কেটিং

কিছু অনুমোদক এমন পন্য বা সেবার প্রচার করেন যেগুলো তারা ব্যবহার করেন এবং বিশ্বাস করেন। তারা এগুলো ব্যবহারে সুপারিশও করে থাকেন। তবে নিজে ব্যবহার করা পন্য বা সেবা ছাড়া প্রচার চালান না। এজন্য এটাকে সংশ্লিষ্ট বা জড়িত মার্কেটিং বলে।



কিভাবে অনুমোদিত মার্কেটিং শুরু করবেন?


যদি আপনি সম্বন্ধযুক্ত বা জড়িত মার্কেটিং করতে চান তাহলে সবার প্রথম কাজ হলো একটি ব্লগ চালু করা। আপনার দরকারমতো একটি ব্লগ আপনি খুলে নিন যেটা আপনার পন্য বা সেবার জন্য ভালো হবে। 

নিজের ব্লগ চালু করার পর নিম্নলিখিত পদক্ষেপ  অনুসরণ করুনঃ











৩. সঠিক কন্টেন্ট তৈরি করুন 




৪. প্রসার ও প্রচারণা চালান





বিজ্ঞাপন(প্রচারণার) মাধ্যম

১. ইউটিউব ভিডিও বানানো

২. লাইভ ওয়েবিনার 

৩. ব্যানার বিজ্ঞপ্তি

৪. হাবপেজ

৫. অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক, ইন্সট্রাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি)

কোন অনুমোদিত নেটওয়ার্কগুলো জনপ্রিয় এবং গ্রহণযোগ্য?














অনুমোদিত মার্কেটিং থেকে আপনার উপার্জন বাড়ানোর জন্য বিশেষ কিছু টিপস

এখানে কিছু গুরুত্ববাহী মার্কেটিং টিপস রয়েছে। দেখে নিনঃ

১. পণ্য এবং সেবা বাছাই এর ক্ষেত্রে সাবধান

২. নিজের গ্রাহকদের কথা ভাবুন, নিজের নয়

৩. ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রয় করে ক্রেতা আকর্ষণ করুন

৪. উপাদান বা পন্যের মান উন্নয়ন করুন

কিভাবে একজন সফল অনুমোদিত মার্কেটার হবেন?

১. গবেষণামূলক কাজ করুন


২. গ্রাহকদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্বন্ধ গড়ে তুলুন



৩. বেশি বেশি চুক্তি করুন



৪. অনেকগুলো মাধ্যম বেছে নিন যাতে আয় বাড়ে



৫. সম্ভাবনা ও ঝুকি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করুন



৬. প্রযুক্তির সাথে সবসময় আপডেট থাকুন


৭. উপাদানের সঠিক ব্যবহার করুন


৮. সবসময় পরিস্থিতি বুঝে চলুন এবং বদলে যাওয়ার প্রস্তুতি রাখুন


এই ছিল আজকের মতো আমাদের আলোচনা। 

উপসংহার

অনুমোদিত মার্কেটিং কেবল একটি ট্রেন্ড বা সাময়িক অভ্যাস নয়, আপনি জড়িত হতে পারেন এটি এমন একটি ব্যবসা। এই ব্যবসায় কার্যকর করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম, সংকল্প এবং একটি মুক্ত মন লাগে, এগুলো থাকলেই এখানে সফলতা পাওয়া সম্ভব।

 এটি এমন একটি উপায় যেখানে আপনি উদ্বিগ্ন সহকর্মী ছাড়া, খারাপ বসদের ঝামেলা হতে মুক্ত  থেকে বা অবৈধ কিছু না করেই উপার্জন করতে পারেন।

 ইতিমধ্যে অনুমোদিত মার্কেটিং এর বেশ নামডাক ফুটেছে। নিজেও এখানে যোগদান করুন এবং বন্ধু, আত্নীয়দেরও উদ্ধুদ্ধ করুন।

 এমন অনেক উপাদান এখানে বিদ্যমান যেগুলোর সুবিধা আপনি নিতে পারেন তাই অবশ্যই এই ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।



সকলের জন্য আমার শুভকামনা রইল।

অ্যাফিলিয়েট বিপণন ধাপে ধাপে শিখতে, এই সেরা অনুমোদিত মার্কেটিং প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো দেখতে পারেন।

Comments

Popular posts from this blog

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সমসাময়িক জীবনে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ - একটি অনিবার্য উপাদান, বিশেষ করে যারা ব্যস্ত জীবন যাপন করেন এবং তথ্য আপডেটের জন্য এটির উপর নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেরা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে এবং অসংখ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ অনলাইন ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি হল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা। একটি সমীক্ষা অনুসারে ২০২১ সালে প্রায় ৮২% আমেরিকানদের এক বা একাধিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি প্রোফাইল ছিল, যা আগের বছরের ব্যবহারের হার থেকে ২% বেশি। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২৩ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক কানেক্টিভিটি কানেক্টিভিটি সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। এটি যেকোনো সময়, সর্বত্র অগণিত ব্যবহারকারীকে লিঙ্ক করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, যা মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা সহজ...

কিওয়ার্ড কি, কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে ?

অনলাইন ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড (keyword) বিশাল একটা জিনিস কারন একটা সামান্য keyword আপনার জীবন কল্পনাহীন পরিবর্তন করে দিতে পারে যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে খুঁজে পান। সুতরাং সবাই চায় সঠিক এবং ভালো কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে । আমাদের, keyword নিয়ে বিস্তারিত যেমন – কিওয়ার্ড কি, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড স্টাফিং কি জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি সাথে জেনে নেওয়া দরকার কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোণগুলো। কিওয়ার্ড-keyword-কি-কত-প্রকার-কিওয়ার্ড-রিসার্চ-কিভাবে-করে সূচিপত্র 1 কিওয়ার্ড(keyword)কি 2 কিওয়ার্ড কত প্রকার(types of keywords) 2.1 ক. অভিপ্রায় ভিত্তিক প্রকার (Based On Keyword Intend ) – 2.1.1 ১. মার্কেটিং কিওয়ার্ড(marketing) 2.1.2 ২. ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড (brand) 2.1.3 ৩. লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (geo-targeting) 2.1.4 ৫. কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ড(competitor) 2.1.5 ৬. কাস্টমার বেসড কিওয়ার্ড (customer centric) 2.2 খ. কিওয়ার্ড দৈর্ঘ্য নির্ভর ভাগ (based on length) 2.2.1 ১. Short-tail keyword ...

প্রসেসর কি? প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটাকে CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে জানি। কম্পিউটারের এই অংশটি মূলত আমাদের কমান্ড প্রসেস করে এবং আউটপুট দেয়। প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ প্রসেসিং ইউনিট ছাড়া আমরা কম্পিউটারের কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে জানবো প্রসেসর কি, কিভাবে কাজ করে, এর গঠন কি এবং প্রসেসর কি কি। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের ব্লগ পোস্ট। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর আপনি প্রসেসর সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রসেসর কি? প্রসেসর হল আমাদের ফোন বা ল্যাপটপে এক ধরনের বিশেষ হার্ডওয়্যার যা আমাদের নির্দেশ বা ইনপুট গ্রহণ করে এবং আমাদের ডিসপ্লের সামনে আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করে। সহজ ভাষায় যিনি প্রসেস করেন তিনি প্রসেসর। অর্থাৎ, আমাদের নির্দেশগুলি প্রসেস করে ভিজ্যুয়াল আকারে আমাদের কাছে আনা হয়। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রসেসর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসর ছাড়া এই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস একেবারেই অচল। প্রসেসর হল এক প্রকার গাণিতিক ইঞ্জিন। কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূ...