Skip to main content

কিভাবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ব্লুটুথ হেডসেট এর ভলিউম বৃদ্ধি করবেন

 

ব্লুটুথ হেডসেট কি?

ব্লুটুথ হলো একটি স্বল্প দূরত্বে ব্যবহারযোগ্য একটি ভয়েস যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং শেয়ারিং প্রযুক্তি। আর ব্লুটুথ হেডসেট হলো ফোনের সাথে কানেক্ট করার মাধ্যমে শর্ট রেঞ্জ এর একটি সুবিধা যেখানে ব্যবহারকারী গান শোনা বা কথা বলা অথবা ফোন কলের উত্তর দিতে পারে। বাজারে সাধারণভাবে দুই ধরনের ব্লুটুথ হেডসেট পাওয়া যায়। সাধারণ ব্লুটুথ হেডসেট আর স্টেরিও ব্লুটুথ হেডসেট। ফোনের সাথে সংযোগ স্থাপন করে আপনার ফোন পকেটে বা কিছুটা দুরত্বে থাকলেও আপনি চাইলে এর মাধ্যমে গান শোনা, কথা বলার সুবিধা পেতে পারবেন।

ফোন থেকে ৩.৫ এমএম জ্যাকের সরিয়ে দেয়ার পর থেকে, এখন ব্লুটুথ হেডসেট ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন এমনও বেশ কিছু ব্লুটুথ হেডসেট এসেছে যেগুলোতে মিডিয়া বাটনও আছে। এখন সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ডিভাইসের শব্দ কমা বাড়া করা আরও সহজ হয়ে গেলো। কিন্তু এখানে একটু সমস্যাও রয়েছে। যদিও ব্লুটুথ হেডসেটে নিজস্ব মিডিয়া বাটন রয়েছে, কিন্তু তবুও এটা দিয়ে শুধুমাত্র মিডিয়া ভলিউম নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ব্যবহারকারী সম্পূর্ণ সাউন্ড সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ পান না। কিন্তু এখন আর চিন্তা নয়, কারণ আমরা এর সমাধান নিয়ে এসেছি। যদি আপনার কাছে মিডিয়া বাটন সম্পন্ন ব্লুটুথ হেডসেট থাকে, আর আপনি যদি এটার মাধ্যমে সাউন্ড কমা বাড়া আরও ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে আসুন দেখা যাক কিভাবে তা করবেনঃ


ব্লুটুথ হেডসেট এর ভলিউম বাড়ান সহজেই

নোটঃ  এই পদ্ধতিটি অ্যান্ড্রয়েড নগাট (৭.০) এর উপরের ভার্সন এ কাজ করে। এর নিচের ভার্সন এ কাজ করবে না। আমি আমার নোকিয়া ৮ এ অ্যান্ড্রয়েড ওরিও (৮.০) তে এই পদ্ধতি অনুসরণ করেছি এবং ব্লুটুথ হেডসেট বোট রকারজ ৫১০ ব্যবহার করেছি আর এটা সম্পূর্ণ ঠিকঠাক কাজ করেছে।

  • কাজ এর শুরুতেই প্রথমে আপনার ডিভাইসের ডেভেলপার অপশন চালু করে নিন। এর জন্য এবাউট ফোন অপশনে গিয়ে আপনার ফোন এর "বিল্ট নাম্বার" এ ৭ বার ক্লিক করুন। এতে আপনার ফোন এর ডেভেলপার অপশন চালু হবে। এরপর সিস্টেম সেটিংস => ডেভেলপার অপশন এ ক্লিক করুন। নিচের ছবির সহায়তাও নিতে পারেন। 


  • ডেভেলপার অপশনে ঢোকার পর একদম নিচের দিকে স্ক্রোল করতে থাকুন। "নেটওয়ার্ক সেকশন" এ চলে আসার পর এখানকার মেনু থেকে "ডিসেবল এবসলিউট ভলিউম" অপশন চালু করে দিন। 


  • এবার আপনার কাজ শেষ হয়েছে। আপনি এখন আপনার ব্লুটুথ ডিভাইস এবং ফোনের ডিফল্ট ভলিউম আলাদা করে ফেলেছেন। এখন আপনি ব্লুটুথ হেডসেট এবং সিস্টেম ডিভাইসের ভলিউম আলাদাভাবে বাড়াতে পারবেন এবং ম্যাক্স করতে পারবেন। 

আপনার ব্লুটুথ ডিভাইস থেকে সর্বাধিক মানসম্পন্ন অডিও সেবা পান

অ্যান্ড্রয়েড নগ্যাট (৭.০) এর সাথে গুগল উভয় ভলিউম নিয়ন্ত্রণকে একত্রিত করে ফেলেছে।  এটি অবশ্যই বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর পক্ষে  সুবিধাজনক, তবে এটি নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীদের জন্য সমস্যাজনক কারণ তাদের ব্লুটুথ হেডসেট ডিভাইস চালু থাকলে সকল ভলিউম এর সেটিংস এখানেই আটকে থাকে।  উপরের পদ্ধতি আজ জানতে পেরে সবাই বেশ খুশি হবেন , আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ভলিউম বাটনগুলো এখন মিডিয়া ভলিউম নিয়ন্ত্রণ করবে, যখন আপনার ব্লুটুথ হেডসেটের ভলিউম বোতাম প্লেব্যাক ভলিউমকে নিয়ন্ত্রণ করবে।  উভয় টগল আলাদাভাবে কাজ করায়, এখন আপনার ব্লুটুথ হেডসেট থেকে সর্বাধিক সাউন্ড আউটপুট আপনি পেতে পারবেন। আপনার ব্লুটুথ হেডসেট এর ভলিউম নিয়ে কোন সমস্যা বা প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্ট সেকশনে জানাবেন, আমরা উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।

Comments

Popular posts from this blog

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

সমসাময়িক জীবনে ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ - একটি অনিবার্য উপাদান, বিশেষ করে যারা ব্যস্ত জীবন যাপন করেন এবং তথ্য আপডেটের জন্য এটির উপর নির্ভরশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লোকেরা বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে, পরিবারের সাথে কথা বলতে পারে এবং অসংখ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সমস্ত ঘটনা সম্পর্কে আপডেট থাকতে পারে। সবচেয়ে সাধারণ অনলাইন ক্রিয়াকলাপগুলির মধ্যে একটি হল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা। একটি সমীক্ষা অনুসারে ২০২১ সালে প্রায় ৮২% আমেরিকানদের এক বা একাধিক সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি প্রোফাইল ছিল, যা আগের বছরের ব্যবহারের হার থেকে ২% বেশি। ২০২০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২৩ মিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করত। সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধা/সোশ্যাল মিডিয়ার ভালো দিক কানেক্টিভিটি কানেক্টিভিটি সোশ্যাল মিডিয়ার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলির মধ্যে একটি। এটি যেকোনো সময়, সর্বত্র অগণিত ব্যবহারকারীকে লিঙ্ক করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং এর সংযোগের মাধ্যমে তথ্য বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে, যা মানুষের একে অপরের সাথে যোগাযোগ করা সহজ...

কিওয়ার্ড কি, কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে ?

অনলাইন ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড (keyword) বিশাল একটা জিনিস কারন একটা সামান্য keyword আপনার জীবন কল্পনাহীন পরিবর্তন করে দিতে পারে যদি আপনি ঠিকঠাক ভাবে খুঁজে পান। সুতরাং সবাই চায় সঠিক এবং ভালো কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে । আমাদের, keyword নিয়ে বিস্তারিত যেমন – কিওয়ার্ড কি, কিওয়ার্ড কত প্রকার, কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড স্টাফিং কি জেনে নেওয়াটা অনেক বেশি জরুরি সাথে জেনে নেওয়া দরকার কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করে, কিওয়ার্ড রিসার্চ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং ভালো বাংলা কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল কোণগুলো। কিওয়ার্ড-keyword-কি-কত-প্রকার-কিওয়ার্ড-রিসার্চ-কিভাবে-করে সূচিপত্র 1 কিওয়ার্ড(keyword)কি 2 কিওয়ার্ড কত প্রকার(types of keywords) 2.1 ক. অভিপ্রায় ভিত্তিক প্রকার (Based On Keyword Intend ) – 2.1.1 ১. মার্কেটিং কিওয়ার্ড(marketing) 2.1.2 ২. ব্রান্ড বেসড কিওয়ার্ড (brand) 2.1.3 ৩. লোকেশন বেসড কিওয়ার্ড (geo-targeting) 2.1.4 ৫. কম্পিটিশন বেসড কিওয়ার্ড(competitor) 2.1.5 ৬. কাস্টমার বেসড কিওয়ার্ড (customer centric) 2.2 খ. কিওয়ার্ড দৈর্ঘ্য নির্ভর ভাগ (based on length) 2.2.1 ১. Short-tail keyword ...

প্রসেসর কি? প্রসেসর কিভাবে কাজ করে?

প্রসেসর কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা এটাকে CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট বলে জানি। কম্পিউটারের এই অংশটি মূলত আমাদের কমান্ড প্রসেস করে এবং আউটপুট দেয়। প্রসেসরকে বলা হয় কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কারণ প্রসেসিং ইউনিট ছাড়া আমরা কম্পিউটারের কোনো ধরনের কাজ করতে পারি না। আজ আমরা এই ব্লগ পোস্টে জানবো প্রসেসর কি, কিভাবে কাজ করে, এর গঠন কি এবং প্রসেসর কি কি। তো চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের ব্লগ পোস্ট। আশা করি এই ব্লগ পোস্টটি পড়ার পর আপনি প্রসেসর সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। প্রসেসর কি? প্রসেসর হল আমাদের ফোন বা ল্যাপটপে এক ধরনের বিশেষ হার্ডওয়্যার যা আমাদের নির্দেশ বা ইনপুট গ্রহণ করে এবং আমাদের ডিসপ্লের সামনে আউটপুট হিসেবে প্রদর্শন করে। সহজ ভাষায় যিনি প্রসেস করেন তিনি প্রসেসর। অর্থাৎ, আমাদের নির্দেশগুলি প্রসেস করে ভিজ্যুয়াল আকারে আমাদের কাছে আনা হয়। কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মতো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে প্রসেসর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রসেসর ছাড়া এই দুটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস একেবারেই অচল। প্রসেসর হল এক প্রকার গাণিতিক ইঞ্জিন। কারণ এটি একটি স্বয়ংসম্পূ...